নন্দীগ্রামে মমতার হার এক জঘন্য চক্রান্তের ফসল নয়তো?
প্রতিবেদন :- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে হারটা কি স্বাভাবিক নাকি কোন চক্রান্তের ফসল ছিল এখন এই প্রশ্নেই উত্তাল গোটা নন্দীগ্রাম।সকাল থেকে এই অঞ্চলের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে আমাদের মনে হয়েছে সারা বাংলার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ নন্দীগ্রামের এই রেজাল্ট নন্দীগ্রামের মানুষদেরই খানিকটা অবাক করেছে।যাদের কাছে প্রশ্ন হল যে মহিলার নেতৃত্বে গোটা বাংলায় তৃণমুল দল অভাবিত সাফল্য পেল সেই নেত্রী কিভাবে তার আন্দোলনের অন্যতম গঢ় নন্দীগ্রামে হেরে যেতে পারেন!বিশেষ করে ভোট গণনার একদম শেষ রাউন্ডে যখন ১২০০ র কিছু বেশি ভোটে তার জীৎ শুনিয়ে দেওয়া হয়,তারপর হঠাৎ কি এমন হল যে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে হঠাৎ করে ১৯৫৩ ভোটে জিতিয়ে দেওয়া হল।এর মধ্যে কোন লেনদেনের গল্প নেই তো?এমনটাই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সমাজের বিশিষ্ট রাজনৈতিক মহল।এটা ঘটনা অত্যন্ত হাই ভোল্টেজ এই কেন্দ্রের নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা।এখানে বিজেপি জেতার জন্য যাবতীয় সাম্প্রদায়িক তাস খেলেছে।শুভেন্দু অধিকারী তো প্রায় সব সভাতেই মমতাকে বেগম বলে উপমা টেনে মানুষকে এই বলে সাবধান করেছিলেন যে তাকে ভোট দেওয়ার অর্থ নন্দীগ্রামকে মিনি পাকিস্তানে পরিণত করা।যেখানে মুসলিম মানেই জেহাদী এমনটাই তিনি প্রকাশ্যে প্রচার করে গিয়েছেন।যার দরুন নন্দীগ্রামে একটা সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ ঘটে গিয়েছিল।কিন্তু সেটা যে এতটা মারাত্মক হয়ে উঠবে তা হয়তো নন্দীগ্রামের বিদ্ধজনদের মাথায় ছিল না।একদা জমি আন্দোলনের পীঠস্থান এই ভুখন্ড জাতপাতের নামে কিভাবে এতটা প্রভাবিত হল সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।যারই পিছনে অফুরান টাকার টোপ খানিকটা হলেও নন্দীগ্রামবাসীর মাথায় বদরক্তের সঞ্চালন ঘটিয়ে থাকতে পারে।যেখানে বহু হিন্দুও তৃণমুলের পতাকা কাঁধে নিয়ে নির্ধিদ্বায় পদ্মে ছাপ দিয়েছেন।মুলতঃ হিন্দুত্ববাদ সঙ্গে টাকা এই দুটোকে সামলাতে যে নেটওয়ার্কিং তৈরি করার দরকার ছিল নন্দীগ্রামে মমতা ব্রিগেড সেটা করে উঠতে পারেনি বলেই মনে হয়।তাই খানিকটা কাঁটায় কাঁটায় টক্করের এই লড়াইতে দু দলের ফরাকটা যেহেতু অতি সামান্য ছিল তাই শেষ পর্যন্ত টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন তৃণমুলের কাউন্টিং এজেন্ডরা এমনকি এই বিশাল খেলায় অতি জঘন্যভাবে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদেও কাজে লাগানো হয়েছে।যে অপারেশনটা করেছেন বিজেপির কেন্দ্রী নেতা তথা পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রসাদ।প্রায় ১৫০ কোটি টাকা খরচ করে বিজেপিকে এই জয় কিনতে হয়েছে এমনটাই সংবাদ সুত্রের দাবি।না হলে এ রেজাল্ট কখনোই হওয়া সম্ভব নয়।যেখানে পূর্ব মেদিনিপুর,পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রায় সর্বত্র পর্যদস্ত এই অধিকারী পরিবার কিভাবে নন্দীগ্রামে তাদের জয় হাশিল করল এখন তাই নিয়ে গভীর আলোচনা হবে।যার সঠিক তথ্য উন্মোচিত হলে ঝোলা থেকে অনেক বেড়াল বেরোতে বাধ্য।
সৌজন্য :- সংবাদ সোচ্চার