ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে, বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এমন ঘটনা কটাক্ষ তৃণমূলের
সুরজিৎ দে হরিশ্চন্দ্রপুর:- ভোট শেষ,কিন্তু তারপরেও হিংসা ও সংঘর্ষের ঘটনা যেন কিছুতেই কমছে না বঙ্গে। ভোট হচ্ছে গনতন্ত্রের উৎসব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায় নির্বাচনের আগেও যেমন সন্ত্রাসের ছবি, নির্বাচনের পরেও তাই। গতকাল রবিবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পর থেকেই নানান জায়গা থেকে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার খবর আসছে। খবর অনুযায়ী সোমবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ৪৬ বিধানসভার ২৩৩ নম্বর বুথ সভাপতি বাবু রবি দাসের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। মারধর করা হয়েছে পরিবারের লোকজন কেও, পাশাপাশি দেওয়া হল প্রান নাশের হুমকি। অন্যদিকে গতকাল গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল মোড়ে এক বিজেপি কর্মী কালু দাসের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ, অভিযোগের তীর শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও এটি বিজেপির গোষ্ঠি কোন্দল বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল-কংগ্রেস। বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা থেকে হাওড়া- বাদ যায়নি কোথাও। এমন আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা।
বাবু রবি দাসের মা রেবতী রবি দাস বলেন, ” আমার ছেলে বিজেপির বুথ সভাপতি। আমি আর আমার মেয়ে নিজের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। তৃণমূলের ছেলেরা মিছিল করতে করতে আসছিল। এসে সোজা আমার বাড়ির ছাদের টিনে লাঠি চালায়। প্রতিবাদ করায় দুই তিন জন মিলে আমাকে ধরে রাখে। তারপর আমার বাড়ি ঢুকে বাড়ি ভাঙচুর করে, ছেলের উপর হামলা চালায়।”
বিজেপি মালদা জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, “কালকের পর থেকে দেখা যাচ্ছে নানান জায়গায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল-কংগ্রেস। এটাই বলতে চাই যে জয়ী হয়ে জন-সাধারণের কাজ করুন। মানুষ পাঁচ বছরের জন্য আপনাদের এনেছে, মানুষের জন্য কাজ করুন। আমাদের মধ্যে কোনো গোষ্ঠী কোন্দল নেই। এগুলো ভিত্তিহীন কথা।”
তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন,এর আগেও দেখেছেন বিজেপি কর্মীরা নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। এগুলো বিজেপির গোষ্ঠি কোন্দলের ফলাফল। তৃণমূলের উপর মিথ্যা অভিযোগ আনছে বিজেপি এগুলো।”
ভোটের ফল প্রকাশের ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। তার মাঝে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক গোলমাল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির খবর আসছে বেশিরভাগ জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি। আর অভিযুক্ত শাসক দল।