নিউজ ডেস্ক :- গ্রেফতার যেদিন হলেন, সেদিনই জামিন পেয়ে গেলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। আর স্বাভাবিক কারণেই আদালতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা জামিন পেয়ে যাওয়ায় মুখ পুড়ল CBI-এর। যদিও রাজনৈতিক মহলের বড় অংশই বলছে, সিবিআই নয়, গোটা ঘটনায় মুখ পুড়ল বিজেপির। রাজ্যে চূড়ান্ত করোনা পরিস্থিতি। তার মধ্যেই সোমবার সকাল হতেই তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
নারদ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন নতুন সরকারের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় , তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় । আর এরপরই সটান নিজাম প্যালেসে, সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রায় ৬ ঘণ্টা ছিলেন তিনি। প্রথমে সিবিআই-এর কর্তাদের উদ্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি জানান মমতা। এরপর অবশ্য দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা বাদে নিজাম প্যালেস থেকে বেরোনোর সময় বলে যান, ‘আদালতেই যা হওয়ার হবে।’ সেই আদালতেই নির্দেশেই গ্রেফতার হওয়ার দিনই জামিন পেয়ে গেলেন ফিরহাদ, সুব্রতরা।
সওয়াল জবাবের মধ্যেই বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন “যেখানে ইতিমধ্যেই চার্জশিট প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে, সেখানে এই নেতা মন্ত্রীদের হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা কোথায়?’ সিবিআই অবশ্য এরপর অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানান।
অপরদিকে, বিচারকের কাছে অভিযুক্তদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, ‘সিবিআই-এর আইনজীবী সওয়াল না করে সিবিআই-এর হয়ে এসপি কেন সওয়াল করছে?’ দিনভর চূড়ান্ত উত্তেজনার পর অবশ্য চার রাজনীতিককেই জামিন দিল আদালত।
যদিও এদিন শুনানি শেষের পর বেশ কিছুক্ষণ রায় স্থগিত রাখেন বিচারক। সেই সময় দুই সিবিআই অফিসার গিয়ে বিচারকের কাছে গিয়ে কিছু নথি দেখিয়ে আসেন। এরপরই রায়ে তিন তৃণমূল নেতা ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দেন বিচারক।