নিউজ ডেস্ক : বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মতোই দুয়ারে রেশন পৌছনোর প্রকল্প চালু করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু কেন্দ্রের মোদি সরকার এই প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। যা নিতে কেন্দ্রকে তোপ দেগেই চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বললেন, ‘দুয়ারে রেশন চালু করার দুই দিন আগেই কেন্দ্র সরকার সেটা বন্ধ করে দিল। যদি পিৎজা, বার্গার, স্মার্টফোন এবং জামাকাপড় হোম ডেলিভারি হয় তবে রেশন কেন বাড়ি অবধি পৌঁছনো হবে না?’
কেজরিওয়াল আরও বলেন, ‘এই প্রথমবার একটি সরকার রেশন মাফিয়াদের হটাতে পদক্ষেপ নিয়েছিল। দেখুন, এই মাফিয়ারা কতটা শক্তিশালী, চালু হওয়ার আগেই বন্ধ করে দিল প্রকল্পটি।’
জনস্বার্থে নেওয়া এই প্রকল্প বন্ধ করার জন্য কোনো কারণ দেখাতে পারেনি বিজেপির সরকার। তবে মুখ রক্ষায় কেন্দ্রের মোদি সরকারের দাবি, এই প্রকল্প চালু করার আগে অনুমতি নেয়নি দিল্লি সরকার। কিন্তু কেজরিওয়াল সাফ জানালেন, এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের অনুমতির প্রয়োজন নেই। তবু জটিলতা এরাতে পাঁচবার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পটি দিল্লির অন্তত ৭২ লক্ষ রেশন কার্ড অধিকারীদের সাহায্য করতে পারত বলে জানিয়েছেন কেজরি।
আজ সকালে কেজরিওয়াল মোদির বিরুদ্ধে সব রাজ্যের অবিজেপী সরকারগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে বিরোধ সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলে বলেন, কেন্দ্র সরকার সবার সঙ্গে ঝামেলা করছে। বাংলায় মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে, মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে, এমনকী লাক্ষাদ্বীপের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও। তিনি আরো বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার সবার সঙ্গে লড়ছে, এতে মানুষ বিপর্যস্ত। আমরা যদি সারাক্ষণ লড়াই করতে থাকি তবে কোভিডের মোকাবিলার কী হবে। আমাকে এই প্রকল্পটি চালু করতে দিন, সব কৃতিত্ব আপনাকেই (নরেন্দ্র মোদি) দেব। রেশন তো আপ কিংবা বিজেপি, কারও নয়। মানুষ পড়তে চায়, মোদি অথবা কেজরিওয়াল গরিবকে রেশন দিয়েছেন। ৭০ লক্ষ মানুষের তরফে আমি জোড়হাতে অনুরোধ করছি, এই প্রকল্প চালু করতে দিন। উল্লেখ্য সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই তিনি বিভিন্ন জেলায় এই প্রকল্প পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেন। যদিও এখানে কেন্দ্রের তরফ থেকে এই ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি তবে দিল্লিতে বাগড়া দিয়েছে মোদি সরকার।