বেহালায় চললো গুলি, এলাকা দখল নিতে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব : অভিযোগ
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বেহালার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের মুচিপাড়া এলাকায় শনিবার রাতে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির সামনে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পরের দিন অর্থাৎ রবিবার দুপুরে আবার ওই দুষ্কৃতীরা হানা দেয় মুচিপাড়ায়। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার অভিযোগে বেহালা থানা ও হরিদেবপুর থানায় ওই দুষ্কৃতীদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সামনেই গুলি চালিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে এলাকা এখন অগ্নিগর্ভ। অবিলম্বে ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন তারা। পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতী এলাকা দখল নেওয়ার প্রচেষ্টায় এই তাণ্ডব চালাচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক সোমনাথ ব্যানার্জীর (বাবন) অভিযোগ, ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অর্ণব ব্যানার্জীর নেতৃত্বে ভাস্কর সেন, লাল্টু ঘোষ সহ বেশ কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতী এলাকায় ঢুকে গুলি চালিয়েছে। তিনি বলেন, শনিবার বেহালার জয়শ্রী এলাকায় বামাচরণ রায় রোডে একটি শীতলা পুজোর আয়োজন করে ওই দুষ্কৃতীরা।সেখানে ওরা একটি “সমাজবিরোধী টিম” তৈরি করে। সোমনাথ বাবুর (বাবন) দাবি, বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তাদের নেতৃত্বেই তৃণমূল প্রার্থী রত্না চ্যাটার্জী এই ওয়ার্ড থেকে ৪ হাজারেরও বেশি ভোটে “লিড” পান। অভিযোগ, ভাস্কর সেনের নামে বেহালা থানায় বহু ক্রিমিনাল কেস থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। ওরাই রবিবার দুপুরে এসে প্রকাশ্যে বেহালা থানার অ্যাডিশনাল ওসিকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায়। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বহিরাগত ওই দুষ্কৃতীরা এলাকার তৃণমূল কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রেখে পুর নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার লোভে এসব করছে।
১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি রূপক গাঙ্গুলী বলেন, “বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এই ওয়ার্ডের কিছু নিরীহ মানুষকে মারধোর করেছে, গুলি চালিয়েছে। আমি এ জিনিস বরদাস্ত করবো না। বিধয়িকা রত্না চ্যাটার্জী সহ দলীয় অন্যান্য নেতাদের জানানো হয়েছে। এইসঙ্গে থানায়ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে……।” অবিলম্বে এই সমাজবিরোধীদের গ্রেফতার করার দাবিও জানান তিনি।