মোহাম্মদ সাদউদ্দিন :- চলে গেলেন বিশিষ্ট কবি – সম্পাদক মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার পাঁচগ্রামের ভূমিপুত্র নুরুল ইসলাম (৮৭)। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার কাছে বাটানগরে তিনি মারা যান।বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি অসুস্হ হন।ফলে তিনি না-ফেরার দেশেই চলে গেলেন।মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের কাঁদুরি থেকে প্রকাশিত আবুল কালাম সম্পাদিত ‘ পূর্বাভাস’ পত্রিকার ভ্রাম্যমান মাসিক সাহিত্য আড্ডায় তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।সেই পরিচয় আরো ঘনিষ্ঠ হয় ঐ জেলারই নওদার রঘুনাথপুরে প্রয়াত মরমী সুফি কবি সৈয়দ আহসান আলী মীরের বাসভবনে।পরে সালার রাহিলা সংস্কৃতি সঙ্ঘ, নবগ্রাম, আলীনগর, কুলি, পাঁচগ্রাম, কুলি, বহরমপুর, বেলডাঙা, বিভিন্নস্হানে সাহিত্যসভার সুবাদে সম্পর্ক গভীর হয়।ওনার সঙ্গে শেষ দেখা বীরভূমের রামপুরহাটে রেল অডিটোরিয়ামে একটি কবিতা উৎসবে।অত্যন্ত সাহিত্য পাগল মানুষ।তার এই মৃত্যু আমাদেরকে অভিভাবক শূন্য করল অনেকটাই।
কাজী আমিনুল ইসলাম -ঃ নুরুল ইসলাম, দ্বাদশাঞ্জলি সম্পাদক ,বাড়ি পাঁচগ্রাম আজ চলে গেলেন।খবর পেলাম নিখিলবঙ্গ বাংলা সাহিত্য সম্মেলনের ,বহরমপুর শাখার সম্পাদক তাপসী ভট্টাচার্য-র মাধ্যমে।তিনিও শাখার কর্মকর্তা ছিলেন।তবে নিঃ ভাঃ বঃ সম্মেলনের খুব পুরাতন সভ্য।আগে ছিলেন সিউড়ি শাখার সভ্য।ভারতের কোথায় না সম্মেলনে গিয়েছেন।আমাদেরও দীর্ঘদিনের সাহিত্য সঙ্গী।পাঁচগ্রাম বহরমপুর জঙ্গিপুর কলকাতা রাঁচি ব্যাঙ্গালোর আলিপুরদুয়ার কোথায় না গিয়েছি।সঙ্গে থাকতেন ভাবিজান,তাঁর সহধর্মিনী।
নুরুল ইসলাম সর্বংসহা সাহিত্যিক ছিলেন।রাগ দুঃখ কখনও দেখিনি।কখনও কোনও কটু কথা বলতে শুনিনি ।অবজ্ঞা অবহেলায় গায়ে মাখতেন না।সাহিত্য পাগলা মানুষ ছিলেন।
এই তো জীবন।কবে শোক সভা করা হবে অনিশ্চয়।তাঁর মঙ্গল কামনা করি।