দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, পরিবার চালাতে ভিটেমাটি বিক্রি করে অসহায় ইয়ামিন, সাহায্যের আবেদন

Spread the love

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, পরিবার চালাতে ভিটেমাটি বিক্রি করে অসহায় ইয়ামিন, সাহায্যের আবেদন

জৈদুল সেখ, অয়ন বাংলা ,বহরমপুর :-

শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণে চোখের জলে দিন কাটছে অসুস্থ অসহায় এক পরিবারের। ছয় মেয়ে এক ছেলে, রিক্সা চালিয়ে কোনো রকমে চলে সংসার। আয় বলতে কেবলই ইয়ামিন ওরফে সেন্টুর রিক্সা বর্তমানে টোটো গাড়ি! গত বছর লকডাইনে বন্ধ ছিল কাজ ফলে সংসারে পড়তে থাকে আর্থিক অভাবের টান, সংসার চালাতে করতে হয় ধার-দেনা! শুরু হয় মানুষিক চাপ! আর তা থেকেই হটাৎ অসুস্থ, শরীর অসাড় হয়ে যায়! ডাক্তার জানায় প্যারালাইসিস!
সেই যে প্রায় এক বছর আগে অসুস্থ হয়ে বিছানা গত! এখানো পর্যন্ত নিজে থেকে কাজ তো দূরের কথা হাঁটাচলাও করতে পারেনা। স্ত্রী শুকরুন্নেশা ধরে ধরে সাহায্যে স্নান খাওয়া দাওয়া হসপিটাল সবকিছুই। দীর্ঘ এক বছর ধরে সংসারের কোনো আয় না থাকায়? অসহায় পরিবারকে ডাক্তার দেখার জন্য কাতারে সাহায্যের আবেদন …! কিন্তু এভাবে কতোদিন চলবে … চোখ থেকে অশ্রু ঝরে ইয়ামিনের, কথা বন্ধ করে সুদূরে দৃষ্টি … মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত গ্লানি দুঃখ গ্রাস করছে।
এমনই ঘটনা ঘটেছে অসহায়! নিরুপায় পরিবার। মুর্শিদাবাদের জেলার বহরমপুর ব্লকের অন্তর্গত কর্ণসুবর্ণের রাঙামাটি চাঁদপাড়া অঞ্চলে ডাবকাই গ্রামে। নাম ইয়ামিন সেখ পরিবারের ছয় মেয়ের মধ্যে খুব কষ্টে পাঁচজনের বিয়ে হয়েছে, একটি মেয়ের বিয়ে এখনো বাকি, বর্তমানে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এক ছেলে রয়েছে কিন্তু সেও শারীরিক ও মানুষিক ভাবে অক্ষম।
সপ্তাহে একবার বহরমপুর মেডিক্যাল হসপিটাল চিকিৎসার জন্য আসবে এখন সে টাকাও নেই! সম্বল বলতে কিছুটা জমি ছিল কিন্তু ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে তাও বিক্রি করে দিয়ে এখন নিঃস্ব, অসহায়, নিরুপায়! গ্রামের কিছু মানুষ দিন কয়েক সাহায্য করলেও বর্তমানে ছেলে মেয়ে স্ত্রী কে নিয়ে সংসার চলে না! টাকার অভাবে বন্ধ ওষুধ! গ্রামের প্রধান মেম্বারেরা সেভাবে সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে না দেওয়ায়, হতাশায়, দুশ্চিন্তায় ভুগছে শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণের ডাবকাই গ্রামের ইয়ামিন ওরফে টোটো চালক সেন্টুর পরিবার।
এব্যাপারে উপপ্রধান ইসমাইল সেখ বলেন ” সত্যি ইয়ামিনের পরিবারের অবস্থা খুব খারাপ, পঞ্চায়েত থেকেও আমরা সেভাবে সাহায্য করতে পারিনি। তবে বিডিও সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু সাহায্যের জন্য বলব ”
যদিও অসুস্থ ইয়ামিনের স্ত্রী শুকরুন্নেশা বিবি বলেন ” মেম্বার প্রধান কেউ কোনো দিন খোঁজ নেয় না বাবা! খুব কষ্টেই দিন যাচ্ছে। যা ছিল সব শেষ! যদি সাহায্য করে খুব উপকার হবে। ”

ইয়ামিনের কাতরে আবেদন আপনারা আমাকে সাহায্য করুন
” আর পারছি না! আমার স্ত্রী, ছেলে -মেয়ে কে নিয়ে কোথায় যাব?”
প্রশ্ন অনেক?
উত্তর একটাই- সাহায্য করলে পরিবারের মুখে ফুটবে হাসি। ফিরে পাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন!

এখন দেখার বিষয় দুয়ারে সরকার থেকে সমাজ সচেতন মানুষ ইয়ামিন ওরফে সেন্টুর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে কবির ভাষায় বলতে শোনা যাবে নিশ্চয়ই
“মানুষ বড়ো কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াও”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.