নিউজ ডেস্ক :- গতবছর নয়া তিন কৃষি আইন প্রবর্তনের পর থেকেই একাধিক কৃষক সংগঠনের সঙ্গে সংঘাত চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের। দিল্লির সীমান্তে দীর্ঘসময় ধরে আন্দোলন চলছে একাধিক বিক্ষুব্ধ কৃষক সংগঠনের। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বিতর্কিত কেন্দ্রীয় কৃষি আইন সম্পর্কে বিশেষ বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, এই আইন কখনোই বাতিল করা যাবে না। পরিবর্তে অন্য কিছু করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।
দিল্লির সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের আন্দোলন তুলে নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বিক্ষুব্দ কৃষকদের প্রতি তিনি জানিয়েছেন যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আন্দোলন তুলে নিয়ে আলোচনায় বসতে। এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি জানান, এই কৃষকদের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এতে কৃষি মান্ডিগুলির সুবিধা হবে। অন্যদিকে, নারকেল চাষে গুরুত্ব দিতে কোকোনাট বোর্ড আইন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন যে, কোকোনাট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট কোন সরকারী আধিকারিককে করা হবে না। নারিকেল চাষের ব্যাপারে যিনি জানবেন, তাঁকেই এর দায়িত্বতে আনা হবে। তিনি জানিয়েছেন, নতুন কৃষি আইন বলবৎ করা হলে মান্ডির ওপর কোনো রকম প্রভাব পড়বে না। কৃষকদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, নতুন কৃষি আইন কার্যকর করা হলেও কৃষি মান্ডিগুলিকে কোটি টাকার সহায়তা দান করা হবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় নয়া তিন কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের আন্দোলনে অস্বস্তি বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের, এমনটাই মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। দীর্ঘদিন ধরে চলছে তাদের এই আন্দোলন। তাদের আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে একাধিক বিরোধী শিবিরের। ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবিরের নেতা- নেত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন কৃষক নেতারা। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের। আগামী দিনে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা সমস্ত বিরোধী দলের সঙ্গে একজোট হয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে বিজেপির, এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে আবার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আইন প্রত্যাহার না হলেও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মতি জানিয়েছে কেন্দ্র।