দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা বিপ্লব দাসের জীবনাবসান
পরিমল কর্মকার অয়ন বাংলা নিউজ ,(কলকাতা) :- দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম বিশিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বিপ্লব দাসের জীবনাবসান হলো শুক্রবার (১৬ জুলাই)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। সূত্রের খবর, কিডনির সমস্যা জনিত রোগের কারণেই প্রয়াত হয়েছেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। ঠাকুরপুকুরের বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। শুক্রবার দুপুর ১-৪০ মিঃ বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি…. এমনটাই জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক সৌমেন বিশ্বাস।
সৌমেনবাবু জানান, মনে প্রাণে কংগ্রেসী ও দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ বিপ্লব দাস ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আই এন টি ইউ সি-র সভাপতি ছিলেন। এমনকি ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সভাপতির পদও অলঙ্কৃত করেছিলেন বিপ্লব দাস।
তিনি বলেন, একসময় বেহালা-ঠাকুরপুকুর বামেদের লাল-দুর্গ বলে চিহ্নিত ছিল। ১৯৮৫ সালে তাঁর নেতৃত্বে পুরসভা নির্বাচনে বামেদের দখলে থাকা মোট ১৮টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে জয় পায় কংগ্রেস। তারপর থেকেই এই জেলায় জয়ের মুখ দেখতে পায় কংগ্রেস। পরবর্তীতে ১৩ ও ১৪ নম্বর বোরো কমিটিও দখল করে কংগ্রেস। বোরো চেয়ারম্যান হন শৈলেন দাশগুপ্ত ও শোভন চ্যাটার্জী।
এরপরই বিপ্লব দাস ও শৈলেন দাসগুপ্তের যৌথ নেতৃত্বে জেলায় শক্ত জমি তৈরি করে কংগ্রেস। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ১৯৯৮ সালের শেষ দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন। তবুও কংগ্রেসে থেকেই সাংগঠনিক কাজে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যান বিপ্লব দাস। ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত জেলা কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন তিনি। অবশ্য ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বিপ্লববাবু তৃণমূলে যোগ দেন। তবে তারপর থেকে তৃণমূলে আর তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি তাঁকে। তাই তিনি তৃণমূল করলেও তাঁকে কংগ্রেস নেতা হিসেবেই দেখতেন কংগ্রেস মতাদর্শে বিশ্বাসী নবীন ও প্রবীণ মানুষেরা…. এমনটাই মন্তব্য বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক সৌমেন বিশ্বাসের।
শুক্রবার প্রয়াত বিপ্লব দাসের মরদেহে মাল্যদান করেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চ্যাটার্জী, সম্পাদক সৌমেন বিশ্বাস সহ অগণিত কংগ্রেস কর্মী এবং তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।