ওয়েব ডেস্ক :- তন্ময় ঘোষ এবং বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর থেকেই বিজেপির অন্দরমহলে জাঁকিয়ে বসে ভাঙ্গনের আতঙ্ক। পরবর্তী তালিকায় কে, কোন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে যুক্ত হবেন তৃণমূল কংগ্রেসে, তা নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। ঘাসফুল শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, লাইনে আরও অনেকে আছেন। আর এই পরিস্থিতিতে ভাঙ্গন আটকাতে বিজেপির পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গের সমস্ত বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে শিলিগুড়িতে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আশা করা হয়েছিল, উত্তরবঙ্গে বিজেপির সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সেই বৈঠকে উত্তরবঙ্গে বিজেপির পাঁচ বিধায়কের অনুপস্থিতি ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি করল ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দরমহলে।
সূত্রের খবর, আজ শিলিগুড়িতে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেখানেই অনুপস্থিত থাকেন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। যার মধ্যে রয়েছেন পুরাতন মালদহের বিধায়ক গোপাল সাহা, হবিবপুরের জুয়েল মূর্মু, কুমারগঞ্জের মনোজ ওঁরাও, গঙ্গারামপুরের সত্যেন্দ্রনাথ রায় এবং বালুরঘাটের অশোক লাহিড়ী। তবে এর মধ্যে বাকিদের অনুপস্থিত থাকার কারণে জানা না গেলেও, দিল্লি থাকার কারণে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক বলে খবর।আর যখন বিজেপির অন্দরে জাঁকিয়ে বসেছে ভাঙ্গনের আতঙ্ক, তখন ঘর সামলাতে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিজেপির বৈঠকে পাঁচ বিধায়কের অনুপস্থিতি সেই আতঙ্ক আরও দ্বিগুন ভাবে বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
একাংশের মতে, দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পাঁচ বিধায়কের অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে চর্চার বিষয়। তারা কি করবেন, তা ভবিষ্যৎই বলবে। কিন্তু গোটা বিষয়টিকে নিয়ে বিজেপি যে যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি আশঙ্কাকে সত্যি করে এই পাঁচ বিধায়ক তাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতিতে কোনো পরিবর্তন আনেন, তাহলে কিভাবে তাকে সামাল দেবে গেরুয়া শিবির, এখন সেটাই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।