বাংলাদেশের কুমিল্লা কান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ত্রিপুরায় মসজিদে অগ্নিসংযোগ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রতিবাদে সভা বীরভূমে ইমাম কাউন্সিলের
ওয়েব ডেস্ক :- সাম্প্রতিক ঘটে চলা বাংলাদেশের কুমিল্লা কান্ড তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ও আরএসএস বজরং দল এর গুন্ডা বাহিনীর দ্বারা ত্রিপুরা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, মসজিদে অগ্নিসংযোগ, ইমাম ও সাধারণ মানুষের উপরে পাশবিক নির্যাতন সেই সাথে কোরআন অবমাননা নবী (স:)এর প্রতি আপত্তিজনক উক্তির প্রতিবাদে আজ বীরভূম জেলার খয়রাশোল, ময়ূরেশ্বর থানাসহ নলহাটি ব্লকের লোহাপুর মোড়ে “অল ইন্ডিয়া ইমামস্ কাউন্সিল” বীরভূম জেলা কমিটির উদ্যোগে, *সাম্প্রদায়িক *দাঙ্গা বন্ধ*ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদের পুনর্নির্মাণ ও *দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও *দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে, প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দাবিতে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন এলাকার কয়েক শত মানুষ।
বিক্ষোভ সভা শুরু হলে নলহাটি থানার পুলিশ,অনুমতি নেওয়া হয়নি এই অযুহাতে সভা বন্ধ করতে চাপ সৃষ্টি করলে এলাকার মানুষেকে সঙ্গে নিয়ে আয়োজক বৃন্দ প্রতিবাদ করেন।অল ইন্ডিয়া ইমামস্ কাউন্সিলের রাজ্য সভাপতি মাওলানা আব্দুত তাওয়াব ও বীরভূম জেলা সভাপতি মাওলানা এনামুল হক ও , জেলা সেক্রেটারি সেতাব উদ্দিন, পুলিশের কাছে জানতে চান! কি কারনে এই বিক্ষোভ সভা বানচাল করতে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে তা লিখিত আকারে জানানো হোক, অন্যথা আমাদের বন্দি করা হোক । একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, পুলিশি অনুমতি ছাড়াই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হলেও কোথাও পুলিশি বাধা আসেনি। অজানা কোন্ কারনে এখানে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই প্রশ্নের সম্মুখীন হলে পুলিশ কথা বলে । অবশেষে পুলিশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সভা সংক্ষিপ্ত করা হয়। পুলিশের এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন এই বলে যে, অপরাধ করেও ত্রিপুরায় সংঘ পরিবার ছাড় পেয়ে যাচ্ছে, আর অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কেন ? এর ফলে অপরাধীরা উৎসাহিত হবে বলে শত শত মানুষ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে জানতে পারা যায় যে, অজানা কোনো অপশক্তির দ্বারা পূজামণ্ডপে কুরআন অবমাননা ও তৎপরবর্তী দুর্গা প্রতিমার অবমাননার, অল ইন্ডিয়া ইমামস্ কাউন্সিল তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সেই সাথে অন্যদেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্টকারী, সংঘ পরিবারের এই ঘৃণ্য আচরণের তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমাদের প্রিয় দেশের সম্প্রীতি নষ্টকারী ও দেশের অশান্তি সৃষ্টিকারীদের, অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় দেশের শান্তি সম্প্রীতি ঐক্য বিনষ্ট হবে এবং অপরাধীরা উৎসাহিত হবে।