অবাক পৃথিবী দেদারে বিকোচ্ছে উইঘুর মুসলিমদের কিডনি, লিভার, চিনের চোরাবাজারে

Spread the love

ওয়েব ডেস্ক: – অবাক বিশ্ব অবাক পৃথিবী ,বিপন্ন মানবতা বিপন্ন সভ্যতা । জীবন্ত মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কাছে পৌছে দেওয়া । আর কত ?  যত দিন যাচ্ছে, চিনে ততই কোণঠাসা হচ্ছে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়। শিক্ষা দেওয়ার নামে তাঁদের ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ নিয়ে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার চালাচ্ছে চিনা প্রশাসন৷ এমনকী, ক্যাম্পগুলিকে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ আখ্যা দিয়ে, এদের স্বীকৃতিও দিয়েছে বেজিং৷ তবে এ তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র। উঠেছে ভয়ংকর অভিযোগ, জোর করে উইঘুর মুসলিমদের শরীর থেকে লিভার, কিডনির মতো অঙ্গ বের করে নিচ্ছে চিন।

জানা যাচ্ছে, হতভাগ্য উইঘুরদের লিভার বিক্রি হচ্ছে দেড় লক্ষ ডলারে। অর্থাৎ ভারতীয় অঙ্কে ১ কোটি টাকার কাছাকাছি। এর চেয়ে কিছু কম দামে মিলছে কিডনি। অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, চিনের চোরাবাজারে বিক্রি হতে থাকা এই সব চোরাই অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অধিকাংশই চিনের উইঘুর মুসলমানদের শরীর থেকে বের করে আনা হচ্ছে।

এই প্রথম নয়, এর আগেও এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। সরকারের মদতেই জোর করে উইঘুর মুসলিম-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের হার্ট, কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, বলে অভিযোগ তুলেছিল জানিয়েছে ‘চায়না ট্রাইবুনাল’। যদিও বরাবরই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে চিন। ২০১৫ সালেই গবেষণার জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের অঙ্গ নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে বলে পালটা দাবি বেজিংয়ের।

উল্লেখ্য, চিনের নানা বন্দিশিবিরে প্রায় ২০ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই বন্দিদের মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে শি জিনপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে। মহিলা বন্দিদের ধর্ষণের পাশাপাশি নিষিদ্ধ ওষুধ প্রয়োগের মতো নানা অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ ৪৩টি দেশ। শিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয় তারা। শুধু তাই নয়, বেজিংয়ের কাছে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আরজি জানায় ওই দেশগুলি।

আমেরিকার নেতৃত্বে এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে চিন। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত চিনা দূত ঝাং জুন বলেন, “এসব অভিযোগ মিথ্যা। চিনের ক্ষতিসাধন করার জন্য এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শিনজিয়াংয়ে প্রচুর উন্নতি হচ্ছে। এবং উন্নয়নের পথে এগিয়ে তারা গর্বিত।” এরই মধ্যে ফের উইঘুরদের শরীর থেকে অঙ্গ চুরি করার অভিযোগে সরব বিশ্ব। যা ফের নতুন করে উইঘুরদের অসহায় পরিস্থিতিকেই প্রকট করে তুলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.