বেহালায় প্রচারাভিযান ও দেওয়াল লিখনে এগিয়ে তৃণমুল প্রার্থীরা, গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার বিজেপি
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : আগামী ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। হাতে গোনা আর মাত্র ১৫ দিন…এর মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে নির্বাচনী প্রচারাভিযান, কারণ নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগেই বন্ধ হয়ে যাবে ভোটের প্রচার। তাই ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারাভিযান। তৃনমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে মিটিং-মিছিল ও জনসংযোগ। ফ্লেক্সের হোর্ডিং ও দেওয়াল লিখনে ছড়াছড়ি তাদের প্রার্থীদের নাম। অন্যদিকে সিপিএম প্রার্থীদের কিছু দেওয়াল লিখন চোখে পড়লেও পিছিয়ে রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। কারণ বেহালায় এখন পর্যন্ত তাদের তেমন কোনও প্রচার চোখে পড়ছে না। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলের কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার পর তাদের মনোবলে চিড় ধরেছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
শুধু তাই নয়, বিজেপি প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া নিয়েও উঠছে বিস্তর অভিযোগ। এমনকি টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগও এনেছেন দলের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। বেহালায় এখন গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার গেরুয়া শিবির। চলছে নেতাদের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের আগেই যেন হেরে বসে আছেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। পাশাপাশি, সিপিএমে কোনো গোষ্ঠীকোন্দল কিংবা কাদা ছোড়াছুড়ি না থাকলেও তারা জয়ের জন্য খুব একটা ভাল জায়গায় নেই বলেই এলাকার মানুষের ধারণা।
উল্লেখ্য, বেহালা-ঠাকুরপুকুর ও জোকায় রয়েছে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড। মোট ২১ টি ওয়ার্ড। এই ২১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২৭ ও ১২৮ এই ২ টি মাত্র ওয়ার্ডে সিপিএম ক্ষমতায় রয়েছে। বাকি ১৯ টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল। সবচেয়ে বড় কথা, এখন যে পরিস্থিতি তাতে সিপিএম এই ভোটের লড়াইতে ধুক ধুক করে টিকে থাকলেও, অনেকেই বলছেন, বিজেপির অবস্থা খুবই খারাপ। সর্বোপরি বেহালায় ওয়ার্ড ভিত্তিক বিজেপির তেমন কোনো সংগঠনই নেই। স্বাভাবিক কারণেই তাদের তেমন কোনো দেওয়াল লিখন কিংবা ফ্লেক্স হোর্ডিং এখনও পর্যন্ত চোখে পড়ছে না… এমনটাই মনে করছেন ভোট বিশ্লেষকরা।