মানুষের স্থানীয় সমস্যা দেখতে না পারলে কাউন্সিলর হবেন না, তোলাবাজি, কাটমানি এসব চলবে না : দলীয় প্রার্থীদের হুশিয়ারি মমতার
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বুধবার গোয়া থেকে ফিরেই পুরভোটের প্রচারে নেমে পড়লেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ফুলবাগানে ছিল তার প্রথম সভা। সেই প্রচার মঞ্চ থেকেই কড়া বার্তা দিলেন দলীয় প্রার্থীদের। সভা মঞ্চ থেকেই দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বললেন, যারা মানুষের স্থানীয় সমস্যা দেখতে পারবেন না তারা কাউন্সিলর হবেন না। আর তোলাবাজি, কাটমানি এসব চলবে না। পাড়ায় বৃষ্টিতে জল জমেছে কিংবা পানীয় জল নেই অথবা রাস্তার লাইট জ্বলছে না —- এগুলো দেখার কাজ কাউন্সিলরদের।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের প্রতিনিধি হলেন কাউন্সিলররা। তাই মানুষের সমস্যার কথা ধৈর্য্য ধরে শুনতে হবে কাউন্সিলরদের। মানুষের সঙ্গে কোনো রকম খারাপ আচরন করা যাবে না। যারা জন-সংযোগ রক্ষা করে চলতে পারবেন তারাই কাউন্সিলর হোন। অন্যথায় দলের বদনাম করে কাউন্সিলর হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় হবু কাউন্সিলরদের এই হুশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফুলবাগানে এই সভায় তিনি আরও বলেন, নিজস্ব ওয়ার্ডে কোথাও কোনো বিপদ হলে কাউন্সিলরকে ছুটে যেতে হবে। মানুষের কোনো কাজ ফেলে রাখা যাবেনা। নিজেরা নিজেকে নেতা মনে করলে নেতা হওয়া যায়না… মানুষের কাজ করার জন্যই কাউন্সিলর, এটা বুঝতে হবে। পাশপাশি অবৈধ নির্মাণ, তোলাবাজি এসব নিয়েও কাউন্সিলরদের সতর্ক করেন তিনি। তিনি বলেন, এলাকায় ঘর-বাড়ি হচ্ছে কাটমানি দাও, রাস্তা, ড্রেন এসব হচ্ছে কন্ট্রাক্টরদের কাছে কাটমানি দাও… এখন থেকে আর এসব চলবে না।
এদিন কথা প্রসঙ্গে তিনি তার নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন। বললেন, “একদিন গাড়ি করে যাচ্ছি… কয়েকজন আমার গাড়ির সামনে এসে বললো, দিদি আমরা ক’দিন ধরে পানীয় জল পাচ্ছিনা। সঙ্গে সঙ্গে আমি ওখানকার স্থানীয় কাউন্সিলরকে ফোন করি। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কেন জল পাচ্ছেনা ? এটা তো আপনার দেখার কথা…। তাই ওই কাউন্সিলরকে এবার আর টিকিট দিইনি… ।” তার বক্তব্যে এদিন তিনি স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিলেন কাউন্সিলর হয়ে মানুষের কাজ না করে আরাম কেদারায় বসে থাকার দিন এখন শেষ।