মহিলা সাংবাদিকের ফোন হ্যাক করে নানা অশ্লীল ম্যাসেজ ছড়ানো হচ্ছে, সেইসঙ্গে টাকার দাবি
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : এক মহিলার মোবাইল ফোন হ্যাক করে তার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত শুরু করেছে এক প্রতারণা চক্র। গীতাঞ্জলি সেন নামের ওই মহিলা পেশায় সাংবাদিক। তিনি দমদম নাগেরবাজার থানা এলাকার বাপুজি নগরের বাসিন্দা। তার থেকে টাকা হাতানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করেছে একটি চক্র। এমনকি তার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের মোবাইলে গীতাঞ্জলির ছবি দিয়ে অশ্লীল ম্যাসেজ হোয়াটসঅ্যাপ করেছে চক্রের পান্ডারা। এইসঙ্গেই গীতাঞ্জলি ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছে বলেও ভুয়া খবর মোবাইল মারফৎ ছড়ানো হচ্ছে। ওই সমস্ত নম্বরগুলো জানিয়ে ইতিমধ্যেই নাগেরবাজার থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন গীতাঞ্জলি। তবে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্তরা কেউই।
ঘটনায় প্রকাশ, গত ১৬ জুন গীতাঞ্জলির ফোনে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। তাতে এক ব্যক্তি নিজেকে ব্যাংকের লোক বলে পরিচয় দেয়। সে বলে গীতাঞ্জলি অনলাইনে দু’হাজার টাকা লোন নিয়েছে। সেই টাকাটা অনলাইনে পাঠাতে হবে। গীতাঞ্জলি তখন জানান, তিনি কোনো লোন নেননি। এরপর বারংবার বিভিন্ন নম্বর থেকে তাকে ফোন করে বিরক্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এই নম্বরগুলো অধিকাংশই ভারতের বাইরের নম্বর বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। তার আরও গুরুতর আভিযোগ, ফোন হ্যাক করে তার অ্যাকাউন্ট নম্বর, প্যান কার্ড, আঁধার কার্ড মোবাইলে থাকা কনট্যাক্ট লিস্টের সমস্ত নম্বরগুলি হাতিয়ে নেয় ওই চক্র।
এরপরই গীতাঞ্জলির কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা সমস্ত নম্বরগুলিতে ফোন করে জানানো হয়, গীতাঞ্জলী ব্যাংকের লোন পরিশোধ করছে না। কাউকে বলা হয়, গীতাঞ্জলী তিন হাজার টাকা পরিশোধ করছে না। কাউকে বলা হয়, পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধ করছে না। শুধু এই করেই থেমে থাকেনি ওই পান্ডারা। প্যান কার্ডে গীতাঞ্জলির ছবির পাশে অশ্লীল ম্যাসেজ লিখে সেগুলি গীতাঞ্জলির পরিচিত সমস্ত নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ক্রমশঃ বাড়তে থাকায় গত ২৬ জুন গীতাঞ্জলি সেন নাগেরবাজার থানায় সমস্ত ঘটনাটি জানিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ৭ দিন কেটে গেলেও ওই চক্রের পান্ডারা এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে খবর। তবে অনুমান করা হচ্ছে, অভিযুক্তরা আন্তর্জাতিক কোনো বড়সড় প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত।
(চলবে…….)