ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে রোগিণীর আত্মহত্যা : হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : শুক্রবার (২সেপ্টেম্বর) ভোরে ঠাকুরপুকুর সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার হাসপাতালে এক রোগী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের গাফিলতিতেই এই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ক্যান্সারে আক্রান্ত নীলিমা সাহা নামের এক মহিলা শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোরে বাথরুমে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর হরিদেবপুর থানার পুলিশ এসে ওই মহিলার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, নীলিমা সাহা (৫২) নামের ওই মহিলা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। তিনি গত ১৭ আগষ্ট “পিসেল লিম্ফোমা ক্যান্সার” নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় কারণে তিনি কিছুটা অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
উল্লেখ্য, সমস্ত কিছু জানা সত্বেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ এই রোগিণীর দিকে তেমন ভাবে নজর দেয়নি বলে অভিযোগ মৃতার বাড়ির লোকজনের। রাতের দিকে ওয়ার্ডে কোনো নার্স, সিস্টার কিংবা দেখভালের লোকজন ছিলনা বলেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের অভিযোগ। আরও অভিযোগ, রোগীকে চিকিৎসার জন্য বহু টাকা খরচ করে সুদূর মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার এই হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তারা। হাসপাতালে গত ১৫/১৬ দিনে এই দরিদ্র পরিবারের বহু টাকা খরচ হলেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য রোগিণীর মৃত্যু ঘটলো বলে তাদের অভিযোগ।
অন্যদিকে, হাসপাতালের সুপার ডাঃ পার্থ সাহা জানান, রাতে রোগী বেডেই ছিল। ভোরের দিকে হয়তো বাথরুমে গিয়েছিল। তারপরই অনেকক্ষণ বাথরুম থেকে না বেরোনোয় সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ হাসপাতালের এক আয়া গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। এরপর হরিদেবপুর থানায় খবর দেওয়া হলে বেলা সাড়ে ৮টা নাগাদ পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের আশেপাশের দোকানদার এবং স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, এখানে স্থানীয় রোগীর সংখ্যা অনেক কম। বেশিরভাগই বাইরের রোগী। বিশেষ করে বাংলাদেশের। তারা জানান, প্রায় দিনই এই হাসপাতালে রোগীদের মৃত্যু ঘটে। তাছাড়া এখানে চিকিৎসার খরচ বিরাট ব্যায়বহুল। সাধারণ মানুষের পক্ষে এখানে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত কষ্টসাধ্য বলেই জানিয়েছেন তারা।