যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে বেহালা অঞ্চলে জনসেবায় অগ্রণী বাবন
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : পুজো পার্বণ থেকে শুরু করে সামাজিক উৎসব হোক আর গণেশ পুজো হোক, এমনকি শিক্ষক দিবসেও সমাজসেবার গন্ধ খুঁজে পান এলাকার যুবক বাবন। যার ভালো নাম সোমনাথ ব্যানার্জী। বেহালার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। তবে একডাকে সারা বেহালায় তার পরিচিতি “বাবন”। সমাজের দরিদ্র মানুষগুলির সেবা করা আর বিপদে-আপদে তাদের পাশে দাঁড়ানোটা তিনি যেন অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছেন। তাই যেকোনো উৎসব-অনুষ্ঠানে এলাকার শ’য়ে শ’য়ে যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়েই বাবনের নিত্যদিনের সামাজিক কর্মকাণ্ড চলছে। তাই তো এলাকার অনেকই প্রকাশ্যে বলেন, জনমুখী কাজে অগ্রণী ভুমিকায় এখন বাবন।
উল্লেখ্য, গত গণেশ পূজোয় এক ঝাঁক যুবদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাবনের পরিচালনায় মুচিপাড়ার পূজো যেন বেহালার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল। পূজোর পর দিনই হাজার দেড়েক মানুষকে খিচুড়ি ভোগে অ্যাপায়নের মধ্য দিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর মেল-বন্ধনের প্রয়াস ছিল প্রশংসনীয়।
তারপরই ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসেও আবার সেই জনসেবা আর জনসেবার মধ্য দিয়েই মেতে থাকলেন বাবন। হাজার খানেকের উপর দরিদ্র মানুষকে অন্ন-ভোজে অ্যাপায়িত করলেন তিনি। একটার পর একটা জনমুখী কর্মসূচির মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলেছেন তিনি। এনিয়ে এলাকার কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ তাকে ঈর্ষা করলেও তার জয় রথ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে সামনের দিকে। তার সঙ্গে রয়েছে যুব-যুবা থেকে থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা। এব্যাপারে এলাকার মানুষের বক্তব্য, বাবনের প্রতি শীর্ষস্থানীয় নেতা-নেত্রীরা একটু দৃষ্টি দিলে ছেলেটা জনসেবায় আরও অনেক দূর যেতে পারবে।