জনসংযোগ রক্ষায় বাবন ব্যানার্জীর প্রশংসনীয় উদ্যোগ বেহালায়

Spread the love

জনসংযোগ রক্ষায় বাবন ব্যানার্জীর প্রশংসনীয় উদ্যোগ বেহালায়

পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : রাজনৈতিক কোনও পদে না থেকেও সমাজসেবার মধ্য দিয়ে যে জনসংযোগ রক্ষা করা যায় — এমনই এক নিদর্শন রেখে চলেছেন বেহালার সোমনাথ ব্যানার্জী। যিনি ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে “বাবন” নামেই পরিচিত। বৃহষ্পতিবার প্রায় ২০০ মানূষকে নিয়ে পিকনিক করে আলোড়ন ফেললেন বাবন ব্যানার্জী। কারণ পিকনিকের সমস্ত ব্যায়ভার করেছেন তিনিই।

প্রসঙ্গত: ১৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) “বাবন” একক প্রচেষ্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়পুরে এক পিকনিকের আয়োজন করেন। ১২১ নম্বর ওয়ার্ড এবং সংলগ্ন এলাকার প্রায় ২০০ মানুষকে নিয়ে এই “চড়ুইভাতি” অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, এই চড়ুইভাতির সমস্ত খরচ-খরচা বহন করেছেন বাবনই।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে পিকনিক স্পটে দাঁড়িয়ে বাবন বলেন, “সমাজসেবার মধ্য দিয়েই আমি আনন্দ খুঁজে পাই। তাই যেকোনো আনন্দ-উৎসবে সবাইকে নিয়ে আনন্দ করি। মানুষ বিপদে পড়লে তার কাছে ছুটে যাই। এটা আমার অভ্যাস। এই পিকনিকটা তারই একটা অঙ্গ। শীতের দিনে সবাইকে নিয়ে একটু আনন্দ করার জন্যই মূলতঃ এই পিকনিকের আয়োজন করলাম।”

পিকনিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এদিন (বৃহস্পতিবার) প্রফুল্ল সেন কলোনিতে ২টি বড় বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই বাসে করে ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ মানুষকে পিকনিক স্পটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে “বনভোজন” নামক একটি স্পটে অনুষ্ঠিত হয় “চড়ুইভাতি”। ছিল পেট পুরে খাওয়া দাওয়ার আসর। ভাত, চিকেন পকোড়া, মাছ ভাজা, চিকেন, ডাল, আলু ভাজা, ফুলকপির তরকারি, চাটনি আরও কত কি ! এই অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিল — নাচ-গান, মহিলাদের হাড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতা। এরপর পুরস্কার প্রদান ইত্যাদি।

এদিনের অনুষ্ঠানে তরুণ, যুব ও মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সবচেয়ে বড় কথা, রাজনীতির কোনও পদে না থেকেও মেলবন্ধনে যে এমন অসাধ্য সাধন করা যায় সেটাই দেখিয়ে দিল “বাবন”। আর এ থেকেই স্পষ্ট যে এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কিন্তু বাবনের সঙ্গেই রয়েছেন। এদিন বাংলা রিপোর্টার্স গিল্ডের পক্ষ থেকে সমাজসেবা কাজের জন্য বাবন ব্যানার্জীকে “স্মারক” দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.