ঢাকায় পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় উদার আকাশ পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন
সোনিয়া তাসনিম
এসেছে, নতুন বর্ষ। পুরাতন দিনের বিষাদ গ্লানিকে পেছনে ফেলে নতুন দিনের নতুন প্রভাকরকে স্বাগত জানিয়ে নিতে জানুয়ারির প্রথম দিনে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের গণ সাংস্কৃতিক বিভাগ আয়োজিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনের জৌলুসে উদ্ভাসিত হয়েছিল এই হিম শীতে মোড়ানো সকাল। দিনব্যাপী বয়ে চলা এই হর্ষ মেলা প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল সংগীত, নৃত্য, কবিতাপাঠের আসর সহ আরও মনোহরী নানা বাহারি আয়োজনে৷ ছন্দে ভরপুর এই আনন্দ দোলাচলকে মাতিয়ে রেখেছিল মূলত প্রশিকার নিজস্ব গুণী শিল্পীরাই৷
শীতের পিঠার মিঠে স্বাদ, কাপে ধূমায়িত গরম চা, আর দ্বিপ্রহরের বাঙালি রসনা বাস্তবিকই সকলকে করে তুলেছিল কাব্যিক ও ভাবুক করে তুলেছিল। তবলচির তাল আর সুরের মূর্ছনায় তৃপ্তির ঢেঁকুরের রেশ মিশে গিয়েছিল অনায়সেই।
সমৃদ্ধ এই আয়োজনে আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে মোড়ক উন্মচিত হয় দুই বাংলায় বহুল আলোচিত, সমাদৃত ও পঠিত পত্রিকা ‘উদার আকাশ’। উল্লেখ্য, উদার আকাশ পত্রিকাটি এর মাঝেই প্রথম সারির পত্রিকা হিসেবে সুপরিচিত। পত্রিকাটির সম্পাদক ফারুক আহমেদ তাঁর নিরলস শ্রম এবং দুর্বার সাহিত্য প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুই বাংলার সাহিত্যমনাদের একই ছায়াতলে সন্নিবেশিত করার এক মহৎ যজ্ঞে দক্ষতা ও সফলতার প্রমাণ রেখে চলেছেন।
সম্পাদিত সমৃদ্ধ মননশীল এই পত্রিকাটি ইতিমধ্যে তার অনন্য আবেদন ও উপস্থাপনার নান্দনিকতা নিয়ে দুই বাংলার সাহিত্য তথা সংস্কৃতির সুরকে বেঁধে নিয়েছে মজবুত ভাবে। এপার ওপার বাংলার এক ঝাঁক নবীন ও প্রবীণ লেখকসহ অসংখ্য কলমযোদ্ধারা তাদের সাবলীল সৃজনের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার প্রতিটি মনোজ্ঞ সংখ্যায়। অনুষ্ঠানে পত্রিকার নিয়মিত লেখক রোকেয়া ইসলাম পত্রিকা সম্পর্কে বিশদ আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধাণ নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম, উপ প্রধাণ নির্বাহী আবদুল হাকিম পরিচালক মিজান খান, পরিচালক আবুল বাশার। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন স্তরের নানা গণ্যমান্য প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ৷ উপস্থিত সকলেই বাংলাদেশে পত্রিকাটির ভূয়সী সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং কী করে পাঠক দরবারে এর সহজ প্রাপ্তিকরণ করা যায় সে বিষয়েও গুরুত্ব সহকারে আলোকপাত করেন। সম্মানিত গুণীজনেরা শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান রোকেয়া ইসলামের মাধ্যমে উদার আকাশ পত্রিকার সম্মানিত সম্পাদক মহাশয়কে প্রশিকা ভবনে আমন্ত্রিত করবার আহবান জানান। দিনব্যাপী চলা এই আয়োজন মোট দুটি পর্বে সম্পাদিত হয়।
এক দুর্দান্ত, মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজনের মধ্য দিয়ে পরিশেষে অনুষ্ঠানটির ইতি টেনে নেওয়া হয়৷