পর্দাকে প্রাধান্য দিয়ে পদ্মের হাট হাক্কানিয়া মানব সেবা-র বিশিষ্ট সমাজ সেবক ,সমাজ উন্নয়নে কান্ডারী হাফেজ আবুল কালাম মন্ডলের উপস্থিতে নলকূপ বিতরণ-
মোমিন আলি লস্কর জয়নগর:-
“মূলত ইসলাম একটি সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। তাই মানব প্রয়োজনের সকল দিকই ইসলামে বিবেচিত হয়েছে।
মুসলিম পুরুষ ও নারী সবার জন্য ফরজ।”পর্দা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত নারী নির্জনতার একটি ধর্মীয় ও সামাজিক প্রথা। মুসলিম মহিলাদের ক্ষেত্রে পর্দা একটি ফরজ আইন এবং মহিলাদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বলা হয়েছে কুরআন শরীফে।পর্দা সাধারণত দু’টি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, মহিলাদের শারীরিক বিচ্ছিন্নতা এবং শরীরকে আবৃত করার প্রয়োজনীয়তা যাতে মহিলারা তাদের ত্বক এবং রূপকে গোপন করেতে পারে। নারীর প্রধান আবাসস্থল হলো তার গৃহে সাধারণত গৃহাভ্যান্তেরে অবস্থান করা নারীর জন্য শোভনীয়। বর্তমানে মুসলিম ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পর্দা প্রথা প্রায় বিলুপ্ত দিকে। তবেই কিছু কিছু পরিবারের ক্ষেত্রে মহিলারা পর্দার মধ্যে থাকতে চেয়েও পর্দার অন্তরালে থাকতে পারেনা কারন আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য। গ্ৰাম-বাংলার বেশির ভাগ গরিব, অসহায় দুঃস্থ, আর্থিক অসচ্ছলতার মানুষের বসবাসের বাস।গ্ৰাম-বাংলার বিশেষ করে গরিব পরিবারের মহিলারা স্নান সহ একাধিক বিশিষ্ট কাজের তাগিদে নির্ভরযোগ্য নির্ভরশীল হল গ্ৰাম-বাংলার পুকুরের জল । সেক্ষেত্রে মহিলা পর্দার সুরক্ষিত নয়। পর্দার দিকে লক্ষ্য রেখে বাড়িতে একটি নলকূপ অনেক বেশি সুরক্ষিত । সমাজ ব্যবস্থা কে পর্দার অন্তরালে নিয়ে আসার জন্য জয়নগর থানার জয়নগর এক নম্বর ব্লকের দক্ষিণ বারাসত অঞ্চলের পদ্মের হাট গ্ৰামে পদ্মের হাট হাক্কানিয়া মানব সেবার কর্ণধার বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং আলেম সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন আলেম সমাজের শিরোমণি হাফেজ আবুল কালাম মন্ডলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গ্ৰাম-বাংলার সমাজের বিলুপ্তপ্রায় পর্দাকে সমাজের মহিলাদের পর্দার সুরক্ষিতর জন্য তিনি গরিব অসহায় দুঃস্থ শতাধিক মানুষের হাতে টিউবওয়েল দিয়ে পর্দার অন্তরালের সুরক্ষার সহযোগিতা করেন। গ্ৰাম-বাংলার সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যাক্তি বর্গগনেরা তাঁনার এই রকম উদ্ধগী দেখে আন্তরিক অভিনন্দন জানালেন। যাদের হাতে তিনি এই নলকুপ তুলে দিয়ে সাহায্য করেন। প্রত্যেক আনন্দিত ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। বুধবার পদ্মের হাট হাক্কানিয়া মানব সেবা-র কর্ণধার বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাফেজ আবুল কালাম মন্ডল তিনি গরিব অসহায় দুঃস্থ মানুষের হাতে টিউবওয়েল তুলে দেওয়া পর তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন
মানবসেবাই হল শ্রেষ্ট ধর্ম।
আমি দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় ধরে গরিব অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে আসছি এবং আমি যতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবো আল্লাহ পাকের নিকট প্রার্থনা করি আমি যেন এই রকম গরিব অসহায় দুঃস্থ পরিবারের পাশে থেকে সাহায্য করতে পারি ও আমি অনুরোধ করব সমাজের মধ্যে যারা আর্থিক সচ্ছলতা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যাক্তি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি গরিব অসহায় দুঃস্থ মানুষের সহযোগিতা করার জন্য। আমি শীতের সময় গরিব অসহায় দুঃস্থ পরিবারের হাতে শীতের সময় শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকি । ঈদের সময় অসহায় দুঃস্থ পরিবারের হাতে ইফতারের সামগ্ৰী সহ অন্যান্য জিনিস পত্র দিয়ে থাকি। এ বছর আমি একটি নতুন ভাবনা ভেবে সমাজ কে পর্দার অন্তরালে নারী-পুরুষের নিয়ে আসার তাগিদে নির্ভরযোগ্য একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।গ্ৰীষ্মকালে গ্ৰাম-বাংলার বেশির ভাগ পুকুরে জলশূন্য হয়ে থাকে এবং মেয়েদের প্রচন্ড গরমে স্নান -সহ সাংসারিক বিভিন্ন কাজে পর্দার বিঘ্নিত ঘটে। সেই চিন্তা মাথায় রেখে এবং পর্দাকে সুরক্ষিত করার জন্য আমি গরিব অসহায় দুঃস্থ মানুষের জন্য নলকূপের ব্যাবস্থা করেছি ,যাদে আমার সমাজ ও সমাজন্ত গরিব অসহায় দুঃস্থ পরিবারের সদস্যরা সঠিকভাবে চলতে পারে।যাহাতে মুসলিম ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পর্দাশিলের মধ্যে থাকে তাহার জন্য সহৃদয় ব্যক্তিদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।