স্নাতকোত্তরে প্রথম স্থান অধিকার করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে স্বর্ণ পদক লাভ করে আসিফ ইকবাল সকলকে চমকে দেন
ফারুক আহমেদ
দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় থানার চন্দনেশ্বর গ্রাম। কলকাতা শহর থেকে অনেকটাই দূরে প্রত্যন্ত একটি এলাকা। আহ্সানউল্লাহ মোল্যা ও ফতেমা বেগমের তিন সন্তানের সবচেয়ে ছোট আসিফ ইকবাল। বাবা পেশায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
চন্দনেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর, পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন চন্দনেশ্বর হাইস্কুলে। এরপর শিশু বিকাশ একাডেমী থেকে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা সম্পূর্ণ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বঙ্গবাসী সান্ধ্য কলেজ থেকে ফিজিওলজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ডিপার্টমেন্ট অফ জেনেটিক্স থেকে জেনেটিক্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতকোত্তরে প্রথম স্থান অধিকার করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে স্বর্ণ পদক লাভ করে সকলকে চমকে দেন। পদক তুলে দেন শিক্ষাবিদ চিন্ময় গুহ। বর্তমানে আসিফ ডিপার্টমেন্ট অফ জেনেটিক্সে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করছেন।
ছোট থেকে বিজ্ঞানের প্রতি অদম্য টান এবং শিক্ষকতার নেশা আসিফকে উচ্চশিক্ষার পথে ধাবিত করেছে। এই উচ্চশিক্ষার পথে যেমন বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবনী ও আবিষ্কার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন ঠিক তেমনি পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে আব্বা ও মায়ের শর্তহীন সমর্থন ছিলো এগিয়ে চলার চাবিকাঠি।
বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তত্ত্বাবধায়ক ড. মৈনাক সেনগুপ্ত এবং যুগ্ম তত্ত্বাবধায়ক ড. মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে কাজ করছেন।
গবেষণার কাজে পাশে পেয়েছেন ড. কাজী মিরাজুল হক, প্রাক্তন ফ্যাকাল্টি জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন, আমেরিকা ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা এবং এন্ত্রিক ডিজিজ (NICED), কলকাতা ও গবেষক বন্ধু জয়ত্রি দত্ত কে।
পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে, বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবনী ও আবিষ্কারের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র এবং কবিতা, উপন্যাস ও ধর্মীয় বিষয়ক বই নিয়ে অবসর সময় কাটান। পিএইচডি শেষ করার পর ভবিষ্যতে রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা ও শিক্ষকতা করার ইচ্ছা রয়েছে আসিফের।