কম্বলের দাপট   শীতের আগমন  বিলুপ্তির  পথে লেপ   

Spread the love

কম্বলের দাপট   শীতের আগমন  বিলুপ্তির  পথে লেপ

মোমিন আলি লস্কর ও জয়দীপ মৈত্রদক্ষিণ দিনাজপুর:

মুলত আমরা জানি শীতের শুরুতে সূদুর বিহার রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের মূলত ব্যাবসা লেপ তৈরি। শীতের আগমনে বিহার রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য তারা বিহার থেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে লেপ তৈরি কাজে বাড়ি থেকে রহনা হল । লেপ তৈরি কারিগর বিহার থেকে পুরোপুরি শীত খুব একটা না থাকলেও শীতের আভাস ভালভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে এই নভেম্বর মাসে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে লেপ তৈরির ধুম। ব্যস্ততা বেড়েছে স্থানীয় ও বিহার থেকে আগত কারিগরদের। এরই মধ্যে বেশ কিছুদিন থেকে শেষ রাতে ও খুব সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। আর এ অনুভূতি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে বা পাড়ায় পাড়ায় প্রস্তুতি নিচ্ছে লেপ-তোশক বের করা সহ সেটি মেরামত বা নতুন করে তৈরির ধুম পড়েছে।


কেউবা বাক্সবন্দি করে রাখা লেপ-তোষক বের করছেন ঠিক করার জন্য। আবার কেউ নতুনভাবে তৈরি করছেন তাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোষকের কারিগররা। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কারিগররা তৈরি করছেন লেপ-তোষক। কারিগরদের টুংটাং আওয়াজ আর বাতাসে উড়ে বেড়ানো তুলা জানিয়ে দিচ্ছে শীত এসে গেছে। ফলে জেলার নানান লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতেও কারিগররা কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজারে বিক্রি ও তৈরিতে কাটছে ব্যস্ত সময়। এক কারিগর জানান, সপ্তাহ আগেও তেমন কাজকর্ম ছিল না। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোরের হালকা কুয়াশায় শীতের আমেজ একটু বিরাজ করছে। এতেই লেপ তৈরির অডার্র শুরু হয়েছে।


জেলার এক কারিগর আহমদ আলী বলেন, ‘এখন কেবল শীতের একটু প্রবাহ শুরু। আর কয়েকদিন পর রাত-দিন সমান তালেই কাজ করতে হবে আমাদের। বতর্মানে পুরনো লেপ ভেঙে নতুনভাবে তৈরির অডার্রই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে গামের্ন্টসের তুলা দিয়ে তৈরি লেপও বিক্রি হচ্ছে।’
এদিকে বিহার থেকে আসা লেপ-তোশক তৈরির কারিগরেরা (ধুনক) ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পুরোদমেই। ধুনক মন্টু চৌধুরী জানান, ‘এক সপ্তাহ হতে আমি প্রতিদনই প্রায় ৫-১০টি লেপ অর্ডার পাচ্ছি। আশা করছি এখন বিয়ের মাস পাশাপাশি শীত পড়তে সেকারনে প্রতিদিন ২০-২৫টি অর্ডার পাবো। আমার কাছে প্রতিটি লেপ এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত পাঁচ কেজি তুলা দিয়ে বানিয়ে বিক্রি করছি।’
বিহার থেকে আসা কারিগর রাকেশ চৌধুরী জানান, ‘আমরা শীত আসার শুরুতেই লেপ তোশক মোটামুটি অর্ডার পেয়েছি পাশাপাশি অগ্রিম কিছু লেপ-তোশক বানিয়ে রাখছি। সাধারণত অনেক ক্রেতা রেডিমেট ভাবে এসব ক্রয় করে থথাকেন।’
তিনি আরও জানান, এবার তুলার দাম একটু বেশি হবার কারনে বড় লেপের দাম গত বছরের চেয়ে ১৫০ টাকা হতে ২০০ টাকা বেশি লাগছে। আবার সিঙ্গেল লেপ এ বেড়েছে ১০০ টাকা মত পাশাপাশি কারিগরদের মুজুরিও এবার একটু বেশি বেড়েছে তবে বলাই বাহুল্য শীত নিবারণ করতে সারা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষ এখন লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত। আর ব্যাপক অর্ডার পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে কারিগরদেরও।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.