বেলডাঙ্গার ঘটনা নিয়ে এসপিকে ডেপুটেশন দিল বন্দী মুক্তি কমিটি।
নিজস্ব সংবাদদাতা,বহরমপুর:- ২ ডিসেম্বর, বহরমপুর: আজ বন্দী মুক্তি কমিটি মুর্শিদাবাদ জেলা শাখা সম্প্রতি বেলডাঙ্গায় ঘটে যাওয়া ঘটনার তথ্যানুসন্ধান রিপোর্ট এবং দাবি সনদ বহরমপুর পুলিশ জেলা এসপিকে জমা দিলেন। এসপিকে দেওয়া এই ডেপুটেশন এর নেতৃত্বে ছিলেন বন্দী মুক্তি কমিটির মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সভাপতি ডাঃ এম আর ফিজা। অন্য দু জন সদস্য ছিলেন জেলা সহসভাপতি উমা রায় সেন এবং সদস্য হাসিবুল ইসলাম। এসপির কাছে প্রতিনিধি দল আটটি দাবি জানিয়েছেন
সেগুলি হল:
১. গণেশতলা পুজো মণ্ডপে লাইটিংয়ের কারসাজি করা মাস্টারমাইন্ডদের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে অ্যারেস্ট করতে হবে ও উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
২. রাত্রি দশটার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে হরেক নগরের কাছে কারা চারজন যুবককে চরমভাবে মারধর করলো তা তদন্ত করে বের করতে হবে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে পরিকল্পিতভাবে এলাকার মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। কারা বিঘ্নিত করছে তদন্ত করে জনসাধারণের সামনে আনতে হবে।
৩. কাপাসডাঙ্গা নিবাসী ক্ষতিগ্রস্ত মফিজুল শেখ সহ নতুনপাড়া নিবাসী মমরেজ মোল্লা, মোহাম্মদ রাজু শেখ ও সবুর আলীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ রাজ্য/কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে। সাথে সাথে মাড্ডায় যাদের ঘর ভাঙ্গা পড়েছে, তাদেরকেও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪. নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে বেলডাঙা থানার আইসি জামালুদ্দিন মন্ডলের ভূমিকাকে তদন্তের আওতায় আনতে হবে ও সাসপেন্ড করতে হবে।
৫. কাহারপাড়ার মন্দিরে অস্ত্র রেখে ভিডিও করার ঘটনায় দোষী পুলিশের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬)কোনভাবেই দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করে বেলডাঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও এনআইএ মোতায়েন করা যাবে না।
৭. ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন সাধারণ মানুষদের উপর দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের মুক্তি দিতে হবে।
এসপি প্রতিনিধি দলের বক্তব্য ধৈর্য্য ধরে শুনেন এবং জানান ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে। কাজ ভাল এগোচ্ছে। আপনাদের দাবিগুলি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত রিপোর্ট আমরা সংবাদ সম্মেলন করেই সকলকে জানাব। বন্দী মুক্তি কমিটির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি ডাঃ এম আর ফিজা জানান সঠিক ভাবে কাজ না হলে আমরা পরবর্তী আন্দোলনের কথা ভাবব।