এসডিপিআই এর প্রার্থী ডক্টর তাসলিম রাহমানী সাহেবের মনোনয়নপত্র বাতিল

Spread the love

এসডিপিআই এর প্রার্থী ডক্টর তাসলিম রাহমানী সাহেবের মনোনয়নপত্র বাতিল

নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- দিল্লীতে_তাসলিম_রহমানির মনোনয়নপত্র প্রত্যাখ্যান করলো #উত্তর_পূর্ব দিল্লীর রিটার্নিং অফিসার ,
(পড়ুন তাসলিম রহমানীর নিজের ভাষাতে )

উত্তর পূর্ব দিল্লীর রিটার্নিং অফিসার শ্রীমতী শশী কৌশাল এসডিপিআই-এর প্রত্যাশী হিসাবে আমার মনোনয়ন পত্র খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে, আমার এফিডেভিডে নাকি অসঙ্গতি রয়েছে।

এটা একটি মিথ্যা অভিযোগ, কারণ তিনি কিছু অভিযোগ করলে আমি পুণরায় স্পষ্ট করে এফিডেভিড জমা দিয়েছি। আমি জানি না যে, তিনি নতুন এফিডেভিডটি পড়েছেন কি না। এমনটা বলার কারণ হল তিনি আমাকে যে পত্রটি পাঠিয়েছেন তাতে উল্লেখ করেছেন যে, অসঙ্গতিগুলি এখনও দূর করা হয়নি। এই অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা।

আসল বিষয়টা হল প্রত্যাশী হিসাবে আমি উর্দু ভাষাতে শপত গ্রহণের উপর জোর দিতে থাকি এবং God এর নামের পরিবর্তে Allah -র নামে শপত গ্রহণের উপর জোর দিতে থাকি। রিটার্নিং অফিসার এই বলে এটাকে প্রত্যাখ্যান করেন যে, উর্দু ভাষাতে শপত গ্রহণের কোন ব্যবস্থা নেই। যখন আমি তাঁকে মনে করিয়ে দিলাম যে, উর্দু হল দিল্লীর দ্বিতীয় অফিসিয়াল ভাষা এবং নির্বাচন কমিশন অঙ্গীকার করেছেন যে, উর্দু ভাষাতে মনোনয়ন পত্র ও ভোটার তালিকা দেওয়া হবে। ফলে উর্দু ভাষাতে শপত গ্রহণের ব্যবস্থা নেই কেন ? তিনি কর্কশ ভাষাতে উত্তর দিয়ে বলেন যে, আমাদের নিকট এমন কোন নির্দেশনা নেই। আপনি যদি ইংরেজিতে শপত গ্ৰহণ করেন তাহলে করতে পারেন, তা না হলে মনোনয়নপত্র জমা না দিয়েই আপনি যেতে পারেন। আমি তখন ইংরেজিতে শপ ত গ্রহণে একমত হলাম কিন্তু শপত শুরু হয় In the name God দিয়ে। ফলে আমি এমনভাবে শপত গ্রহণে অস্বীকার করলাম এবং আল্লাহর নামে শপত গ্রহণ করার প্রতি জোর দিলাম যেটা তাকে মানতে হত কিন্তু সেটা করলেন খুবই অমার্জিত ব্যবহারের মাধ্যমে। এই সমস্ত বাকবিতণ্ডা রিটার্নিং অফিসারের ক্যামেরাতে রেকর্ড হয়ে আছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ভোটার তালিকা ও মনোনয়নপত্র উর্দুতে পড়ার বিকল্প আছে কিন্তু ক্লিক করলেই একটি শূন্য পৃষ্টা দেখাচ্ছে যেখানে না আছে উর্দুতে ভোটার তালিকা আর না আছে মনোনয়ন পত্র।
সেই দিনই ভারতের নির্বাচন কমিশনের নিকট আমি একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছি কিন্তু এখনও কোন উত্তর পাইনি। নির্বাচন কমিশনকে বারবার ফোন করা হয়েছে কিন্তু কোন সময় উত্তরই দেয়া হয়নি আবার কখন উত্তর দিয়েছেন কোন জুনিয়র স্টাফ যে উপযুক্ত উত্তর দেয়ার পদে নেই।

নির্বাচনের দায়িত্ব যে সকল অফিসারকে দেয়া হয়েছে তাদের রাজনৈতিকভাবে বিষাক্ত মানসিকতার দৃষ্টান্ত হল এই ঘটনা। এটা হল SDPI -কে জিতার যোগ্য একটি আসন থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে দূরে রাখার একটি পরিকল্পনা।
আমরা উপযুক্ত সময় যথাযোগ্য আইনি পদক্ষেপ গ্ৰহণ করতে থাকবো এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক রাখার সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।


আমার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাখ্যান করার পর কংগ্রেস, AAP ও RSS স্বস্থি লাভ করেছে। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক পদ্ধতিতে সংগ্রাম চালিয়ে যাব। এটা থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে SDPI কে একটি শক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু দিল্লীর এই সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলি আমাদের উপস্থিতিতে ভয় পাচ্ছে। ফলে তারা আমাদেরকে রুখে দেয়ার সফল চেষ্টা করেছে। কিন্তু আর কতদিন রুখবে ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.