দলীয় মুখপাত্র ও কাউন্সিলর কলকাতা কর্পোরেশন অরুপ চক্রবর্তী, উপস্থিতে জয়নগর টাউন হলে বিজয়া সম্মিলনী …..

Spread the love

দলীয় মুখপাত্র ও কাউন্সিলর কলকাতা কর্পোরেশন অরুপ চক্রবর্তী, উপস্থিতে জয়নগর টাউন হলে বিজয়া সম্মিলনী …..

মোমিন আলি লস্কর জয়নগর –

সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা। বিশ্ব বিখ্যাত বাংলার বড় উৎসব দুর্গাপূজা শেষ হলো।দুর্গোৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে নতুন উৎসব—বিজয়া সম্মিলনী। তবে এর অন্তরালে লুকিয়ে রয়েছে ২০২৬-এর ভোট লড়াইয়ের আগাম প্রস্তুতি। বাংলার মানুষের মিলন-পার্বণ তাই এবারে হয়ে উঠতে চলেছে ২০২৬ এর ভোটের যুদ্ধের মঞ্চ। দুর্গাপূজার পরেই বাংলার রাজনীতির মঞ্চে শুরু হয়েছে নতুন উত্তাপ। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্দেশে আজ জয়নগর বিধানসভার বিধায়ক বিশিষ্ট শিক্ষক ও সাংগঠনিক চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ দাসের উদ্যোগে জয়নগর টাউন হলে দলীয় মুখপাত্র ও কাউন্সিলর কলকাতা কর্পোরেশন অপরুপ চক্রবর্তী ও সুন্দরবন সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক জয়দেব হালদার উপস্থিতে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হল।এই বিজয় সম্মেলন অনুষ্ঠানে দলীয় মুখপাত্র ও কাউন্সিলর কলকাতা কর্পোরেশন অরুপ চক্রবর্তী,সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক জয়দেব হালদার , জয়নগর বিধানসভার কেন্দ্রের বিশিষ্ট শিক্ষক বিশ্বনাথ দাস,উক্ত সভায় সঞ্চালনা ব্লক সভাপতি তুহিন বিশ্বাস, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়হীন বাহিনীর সহসভাপতি রাজু লস্কর, জয়নগর এক নম্বর ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সাম্মিম আহমেদ ঢালী, বহড়ুক্ষেএ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের যুব সভাপতি আবু কালাম,গড়দেওয়ানী অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি সাহাবুদ্দিন শেখ, ময়দা অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি জান্নাত হোসেন মোল্লা, জেলা পরিষদের সদস্যা বন্দনা লস্কর, জয়নগর এক নম্বর ব্লকের আই,এন,টি,টি,ইউ সি সভাপতি মাতিন হালদার জয়নগর এক নম্বর ব্লক সমিতির সভাপতি ঋতুপর্ণা বিশ্বাস, জয়নগর দুই নম্বর ব্লক সমিতির সভাপতি প্রিয়ঙ্কা মন্ডল জয়নগর দুই নম্বর ব্লকের খাদ্যের কর্মদক্ষ্য ওয়াহিদ মোল্লা, কণ্যকান্তি হালদার, জয়নগর বিধানসভার কেন্দ্রের সমস্ত অঞ্চলের প্রধান, উপপ্রধান, সদস্য সদস্যা সহ একাধিক দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে এদিন শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অপরুপ চক্রবর্তী জানান উৎসবের এই মহা-মিলন মেলা মানুষের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার মিলন সেতু ।তবে তিনি আনন্দঘন পরিবেশ ও রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে ভুলেনি। তিনি বিজেপিকে কড়া সুরে আক্রমণ শানিয়ে অরূপ চক্রবর্তী বলেন
কর্মীদের সজাগ থাকতে বলেন,তিনি বলেন,এস আই আরের নামে যাতে প্রকৃত ভোটার বাদ না পড়ে সে দিকে নজর রাখতে হবে।বিজেপি চায় এর নামে সংখ্যা লঘু ভোটারদের নাম বাদ দিতে।কারন ওরা ভালভাবে জানে এই রাজ্যের মানুষ ওদের চায় না,দিদিকে চায়।আর এদিন তিনি বিজেপির পাশাপাশি সিপিএম ও এস ইউ সির কঠোর সমালোচনা করেন।তিনি সোমবার উওর বঙ্গে বিজেপি সাংসদের ওপর হামলার প্রতিবাদ করে বলেন এটা কখনোই কাম্য নয়।তবে তাকে দেখতে বিজেপির শুভেন্দু, শমীক না গেলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়ে দেখা করে এসে তার সুস্থতা কামনা করেছে।আর এটাই হলো বিজেপির সাথে তৃনমূলের তফাত। তিনি ২০২৬ সালে দক্ষিন ২৪ পরগনার ৩১ টি আসনেই তৃণমূল জিতবে বলে এদিন দাবী করে। তিনি আরো বলেন বিসর্জন হবে ঠিকই তবে তা বাংলার মানুষের নয় ।বিসর্জন হবে বিজেপির জমিদারদের । দুর্গাপূজা শেষ হতেই কার্যত ভোট উৎসবের মঞ্চে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ।এবার হাতিয়ার করা হয়েছে বিজয় সম্মেলনী কে। মানুষের আবেগ উৎসব ও সংস্কৃতির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে চাইছে তৃণমূল। বিজয়া সম্মিলনী তাই শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় নয় বরণ এবারে ভোট মুখি বার্তা দেওয়াও এক বড় মাধ্যম হতে চলেছে শুধু রাজনৈতিক প্রচার প্রচারেই নয় বিজয়া সম্মেলনী মঞ্চ থেকে বাঙালি পরিচয় এর রাজনীতিকে আরোও যোদ্ধার করতে চায় রাজ্যের শাসক দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বহুবার বলেছেন দুর্গাপূজা বা বিজয়া কেবল ধর্মীয় আচার নয় এটি বাঙালির সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। সেই ঐতিহ্য কে সামনে রেখে তৃণমূল রাজ্যের মানুষকে আবেগবন্ধনে আবদ্ধ করতে চাইছে।এক্স-এ (সাবেক টুইটার) অভিষেক লেখেন, “মা যখন ফিরে যান তাঁর দেবালয়ে, তখন রেখে যান এক বার্তা-সত্যের জয়, ন্যায়ের বিজয় এবং মানবতার ঐক্য। মা দুর্গার আলোকে পথ চলুক বাংলা।” তাঁর এই বার্তা রাজনৈতিক মহলে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জয়নগর টাউন হলে বিজয়া সম্মোলনে উপস্থিত ছিলেন তৃনমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলার অরুপ চক্রবর্তী,সুন্দরবন জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার,জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস,জেলা তৃনমূল জয়হিন্দ বাহিনীর সহ সভাপতি রাজু লস্কর,জেলা পরিষদ সদস্য বন্দনা লস্কর,তপন কুমার মন্ডল,বনানী গায়েন,জয়নগর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঋতুপর্ণা বিশ্বাস, জয়নগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রিয়াঙ্কা মন্ডল, জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার, ভাইস চেয়ারম্যান রথীন কুমার মন্ডল, জয়নগর ২ নম্বর ব্লক তৃনমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সাহাবুদ্দিন শেখ, জয়নগর এক নম্বর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি তুহিন বিশ্বাস,জয়নগর এক নং ব্লক তৃনমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শামিম আহমেদ ঢালী সহ আরো অনেকে।এদিনের এই অনুষ্ঠানে জয়নগর বিধানসভা এলাকার পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীরা সহ বহু তৃনমূল কর্মী সমর্থক অংশ নেন।এদিন জয়নগরের বিধায়ক বিশিষ্ট শিক্ষক বিশ্বনাথ দাস এই অনুষ্ঠানে আগত কর্মী সমর্থকদের অভিনন্দন জানালেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *