*মানুষকে বেনাগরিক করার ষড়যন্ত্র রুখতে হবে : কামরুজ্জামান*
নিজস্ব সংবাদদাতা ,কোলকাতা – উত্তরপ্রদেশে আই লাভ মুহাম্মদ সা. লেখার জন্য মুসলিম ধর্মালম্বীদের গ্রেফতার করার প্রতিবাদে এবং এস আই আর এর বিরুদ্ধে সন্দেশখালীর সরবেড়িয়া বাজারে এক প্রতিবাদী জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য এবং সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সম্পাদক মাওলানা কামরুজ্জামান।
তিনি উত্তরপ্রদেশে মাওলানা সাহেবদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে যোগী সরকারের নক্করজনক পদক্ষেপকে আইনি ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মুসলিম নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরো বলেন একজন বিশ্ব মনীষীর কথা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ এর উপর আস্থা রাখা বা ভালোবাসা এটা কি অপরাধ? যিনি বিশ্ব গুরু জগতের পথ প্রদর্শক সেই হযরত মুহাম্মদ এর নামের প্রতি এত অনিহা আমরা মেনে নেব না। এরই প্রতিবাদে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। ভবিষ্যতেও কলকাতার রাজপথে নামবো। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন
বিশ্ব মানবকল্যাণ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহিল মারুফ সাহেব বলেন যার যার বিশ্বাস মতে বা ধর্ম মতে কেউ কারো ভালোবাসাটা অপরাধ নয়। তিনি পুলিশের এই পদক্ষেপকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি হুমকি এবং ভারতের সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন।
উপস্থিত ছিলেন গাবাটি এএইচএম সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন মহানবী মুহাম্মদ সা .এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য মুসলিম যুবকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা কেবল ভিত্তিহীন নয় বরং এটি পুলিশ ও প্রশাসনের উপর মানুষের আস্তাকে দুর্বল করছে। কারণ আই লাভ মোহাম্মদ স: লেখা অন্য কোন ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে না এই শব্দটি কোন ধর্ম বা বিশ্বাসকে অবমাননা করে না। এটি কেবল ভক্তির প্রকাশ এটি কে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা শুধু অন্যায্য বা অযৌক্তিক নয়, এটা গর্হিত কাজ এর তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা জানাই।
সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন আই লাভ মোহাম্মদ সা: লেখায় পুলিশের যে ভূমিকা তাতে পুলিশের প্রতি জনগণের আত্মাকে নাড়া দিচ্ছে এবং সামাজিক সম্প্রীতির কে ক্ষুন্ন করছে তিনি অবিলম্বে এফ আই আর বাতিল করার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানান। এবং ভবিষ্যতে অনুরূপ ঘটনা রোধ করছে এবং নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করারও দাবি করেন ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রবীর শিক্ষক মাওলানা মোফাকেরুল ইসলাম, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী পৃথ্বীরাজ মন্ডল মাওলানা রেজাউল করিম , সমাজকর্মী হোসেন গাজী উপস্থিত ছিলেন সহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ।

