নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: নদীয়ার এক স্কুলে আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষক শিক্ষিকা।এলাকায় উত্তেজনা। স্কুলে ছুটির দিনে প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার অশালীন আচরণের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল তেহট্ট থানার শ্রীরামপুর স্পেশাল ক্যাডার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আপত্তিকর অবস্থায় ওই দুজনকে দেখা যায় শ্রেণিকক্ষে। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। গা ঢাকা দেন শিক্ষিকা। ঘটনার জেরে কয়েকশো গ্রামবাসী এবং অভিভাবক স্কুলঘরে প্রধান শিক্ষককে দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখায়। গ্রামবাসীদের দাবি, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে লিপ্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। তালাবন্দি অবস্থায় গ্রামের কয়েকজন স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি স্কুল অফিসে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে যেতে গেলে জনরোষে গণপিটুনি শুরু করে উপস্থিত জনতা। জনরোষের শিকার হয় পুলিশও। কোনওরকমে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গাড়িতে তুলে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। প্রধানশিক্ষকের মোটর সাইকেলটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। উত্তেজনা সামাল দিতে গেলে ঘটনাস্থলে থাকা এক সিভিক ভলান্টিয়ারও জনরোষের শিকার হন,ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ।অভিভাবকদের অভিযোগ, ঘটনার সময় স্কুলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এবং ওই শিক্ষিকা ছাড়া কেউই ছিলেন না। মাঝেমধ্যে এমন ঘটনা ঘটে বলে গ্রামে কানাঘুষো চলছিল। শুধু সুযোগের অপেক্ষায় ছিল গ্রামের কয়েকজন যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষক-শিক্ষিকার কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে বলে সূত্রের খবর। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এর আগেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা স্কুল ঘরে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেছেন। স্কুল চত্বরের পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও এদিন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় গ্রামবাসীরা মেনে নিতে পারেননি। সেই ক্ষোভ গিয়ে পড়ে শিক্ষকের উপর। অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ জনতার রোষ থেকে উদ্ধার পুলিশ হেফাজতে নেয়।