অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:- স্যোসাল মিডিয়ায় মোদিজীকে সবচেয়ে বেশী লেখালেখী,ও সবচেয়ে বেশী হাসাহাসি আর কোন প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে হয় নি ।এর মধ্যে মোদিজী বসলেন সাংবাদিক সম্মেলনে ,আর সাংবাদিকরা পেলেন না প্রশ্ন করার কোন সুযোগ ,আর এই নিয়ে উঠেছে এখন সমালোচনার ঝড়।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জীবনের প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিলেন না নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার বিকেলে দিল্লিতে আয়োজিত এই বৈঠকে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিলেও পাশে বসে থাকা মোদি শুধু নিজের বক্তব্যই পেশ করেন। যা নিয়ে বেশ হাসিঠাট্টাই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার চালানোর পর ফের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে ক্ষমতা ফেরার ঘটনা আমাদের দেশে কোনওদিন হয়নি। কিন্তু, এবার মানুষের আর্শীবাদে সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে।”২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর একবারও সাংবাদিক বৈঠক করেননি নরেন্দ্র মোদি। তবে নিজের পছন্দ মতো কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তিনি সাক্ষাৎকার দেন। যা নিয়ে আজও তাঁকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলগুলি। শুক্রবার সেই প্রধানমন্ত্রী নিজের পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষের পর দলের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার জন্য এই সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানান।
যদিও শুক্রবারের এই সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়ে হতাশ হয়েছেন খোদ সাংবাদিকরাই। কারণ, পাঁচ বছরে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, তাঁদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি মোদি। নিজের বক্তব্য পেশ করার পরেই মৌনব্রত ধারণ করেন! তাঁকে প্রশ্ন করলেও তার জবাব অমিত শাহ দেবেন বলেও উল্লেখ করেন।যা নিয়ে পরে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। টুইট করেন, “অভিনন্দন মোদিজি, অসাধারণ সাংবাদিক বৈঠক! অর্ধেক যুদ্ধ জিতেই গেছেন। আশাকরি পরেরবার মিস্টার শাহ আপনাকে কিছু প্রশ্নের হয়তো উত্তর দিতে দেবেন।”বিষয়টি থেকে মজার খোরাক সংগ্রহ করেছেন নেটিজেনরাও। মোদি-শাহ জুটির সাংবাদিক বৈঠকের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন কটাক্ষের ঝড় বয়ে যায়! একজন গুগুলে প্রেস কনফারেন্স লিখে সার্চ করে তার ছবি পোস্ট করেন টুইটারে। নিচে লেখা, আমার মনে হয় গুগুল মানে বুঝতে ভুল করেছে। আর আমাদেরও ভুল বোঝাচ্ছে। কারণ নরেন্দ্র মোদির কাছে এসে প্রেস কনফারেন্সের মানেই বদলে যায়। গুগুলের হিসেব মেনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন না তিনি।একজন তো আবার বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে দিল্লিতে বিজেপি যে মৌন বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তার ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে নির্মলা সীতারমণ-সহ বিজেপি নেতা-নেত্রীরা মুখে আঙুল দিয়ে রেখেছেন। আর ওই ছবির নিচে লেখা আছে, মোদিজি তাঁর প্রথম ও শেষ সাংবাদিক বৈঠকের সময়। একজন লিখেছেন, তিনি এলেন, বসলেন, বক্তব্য রাখলেন, মুখে অঙ্গভঙ্গি করলেন এবং সব শেষে চলে গেলেন। আরেক নেটিজেন আবার অমিত শাহের পাশে মোদিজির কাটআউট বসানো ছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। আজব সাংবাদিক সম্মেলন দেখলেন সাংবাদিকরা।