নিজস্ব প্রতিনিধি,অয়ন বাংলা, নদীয়া:
এ এক অনন্য কীর্তি মানবতার নজির,এটাই এ এদেশের প্রকৃত রুপ।এ ভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এ দেশের সম্প্রীতি ।
ঈদের বাজার করতে এসে রক্ত দিয়ে থালাসেমিয়া আক্রান্ত এক হিন্দু কিশোরীর প্রাণ বাঁচালেন মুসলিম এক যুবক । রক্তের সংকট চলাকালীন ওই মুসলিম যুবকের রক্তদানে নিজেদের মেয়ের এ যাত্রা প্রাণ বেঁচে যাওয়ায় ভীষণ খুশি ওই কিশোরীর বাবা মা । নদীয়ার কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে রাখি দাস নামে ওই কিশোরী । বর্তমানে রাখির বয়স দশ বছর । জন্মের মাত্র ছয় মাসের মাথাতেই ধরা পড়ে রাখি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত । তখন থেকেই মেয়েকে বাঁচাতে রাখির মা তাপসী দাস ও বাবা গৌতম দাস বিভিন্ন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে ঘুরে ঘুরে মেয়ের জন্য রক্ত জোগাড় করে আসছেন । যদিও ইদানিং রক্তের সংকট চলায় তারা পড়েছিলেন ভীষণ সমস্যায় । গত তিনদিন ধরে তারা ঘুরে ঘুরে ও রক্ত জোগাড় করতে পারেননি । কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে মেয়েকে বারবার নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন । যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পলাশীর ছোট কুলবেড়িয়ার যুবক ওসমান গনি শেখের সঙ্গে যোগাযোগ হয় রাখির বাবা মায়ের । পলাশী থেকে পরিবার নিয়ে কৃষ্ণনগরে ঈদের বাজার করতে এসেছিলেন ওসমান গনি শেখ । রাখিকে বাঁচানোর জন্য ওসমান ঈদের বাজার ফেলে রেখে ছুটে যান কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে । সেখানে গিয়ে নিজে রাখির জন্য রক্ত দান করেন । এরপর সেই রক্ত নিয়ে গিয়ে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখির শরীরে দেওয়া হয় । আর এভাবেই হিন্দু কিশোরী রাখির প্রাণ বাঁচে মুসলিম যুবক ওসমানের রক্তে । এ এক অনন্য নজির ।এটাই ভারতের সম্প্রীতি এটাই দেশভক্তি।