বাদুড়িয়ায় মাছ ব্যবসায়ী খুনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সুপারি কিলার দিয়ে খুনে করিয়েছে স্ত্রী ও প্রেমিক।
নিজস্ব প্রতিনিধি,অয়ন বাংলা,উওর ২৪ পরগনা: রবিবার সকালবেলায় মাছ ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের কোপানো দেহ পাওয়া যায় বাজিতপুর কালী তলায় কালভার্টের নিচে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে দেখতে পায়, তারপর স্ত্রী টুম্পা মন্ডল স্বামী খুনের নাটকের সাক্ষী ছিল, স্থানীয় গ্রামবাসী থেকে রাজনৈতিক দল ,দাবি করেছিল বিজেপি কর্মী হওয়ায় খুন হতে হয় অজয় য়ের । কিন্তু মৃত অজয় মণ্ডলের ভাই দেব কুমার মন্ডল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, এই খুন নিয়ে পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ছিল। গত ৪৮ ঘণ্টায় মধ্যে খুনের কিনারা করল বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছিল বিজেপি কর্মী হিসেবে । গত দু’মাস আগে প্রতিবেশী মিঠুন মন্ডল এর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল, সেটা দেখে ফেলেছিল তার স্বামী অজয় মন্ডল,তার পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলছিলো গন্ডগোল বসসা। তারই অবসান ঘটাতে টুম্পা তার প্রেমিককে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করার নাটক তৈরি করেছিল টুম্পা এবং মিঠুন, এই খুনের পিছনে পরিকল্পনা করেছিল এবং পরে ঘটনা স্থলে রেইকি করেছিল। এমন অভিযোগ রয়েছে পুলিশের কাছে টুম্পা ও তার প্রেমিক মিঠুন। ৮০ হাজার টাকা দিয়ে সুপারি কিলার ভাড়া করে নিজের স্বামীকে খুন করেছে বলে অভিযোগ পুলিশের কাছে। স্বামী কখন বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে মাছ কিনতে, মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেছিল প্রেমিক ও সুপারি কিলারদের সঙ্গে। রবিবার ভোররাতে বেরোনোর পর এই মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরে মোটরসাইকেলে এসে দুষ্কৃতীরা তার মুখে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। ঘটনাস্থলে অজয়ের মৃত্যু হয়। তারপরে পুলিশের কাছে ঘন ঘন বয়ান বদল করায় ধন্দে পরে যায় পুলিশ। তার পরে পুলিশ ৪৮ ঘন্টা ধরে জেরার মুখে রিতি মত কান্নায় ভেঙে পরে স্ত্রী টুম্পা। স্বীকার করে নেয়।তার প্রেমিক মিঠুন ও দুষ্কৃতীদের ভাড়া করে তার স্বামীকে খুন করিয়েছে। একটাই কারণ মিঠুনের সঙ্গে টুম্পার অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলায় ,চিরতরে তার স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য এই পন্থা বেছে নিয়েছিল। বারাসাতে মুনিয়া কান্ডের ছায়া এবার বাদুড়িয়া। মঙ্গলবার ভোররাতে টুম্পা ও তার প্রেমিক বাদুড়িয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। মৃত অজয় মণ্ডল এর বাবা গোবিন্দ মন্ডল বলেন তার বৌমা ও প্রেমিক সঙ্গে যারা পরিকল্পিতভাবে খুন করেছিল তাদের চরম ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মৃত অজয় মণ্ডলের যে ৭। বছরে পুত্র সন্তান রয়েছে তার দাদু দিদা তাকে মানুষ করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। এই সন্তান তাকে দেয়া হবে না ধৃত দুজনকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বাদুড়িয়া থানার পুলিশ ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে আবেদন জানায় বসিরহাট মহকুমা আদালতে ।