+নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:-ভোট তো শেষ হল কিন্তু সংঘর্ষ কমল কই এটাই এখন রাজ্য বাসীর প্রশ্ন। নির্বাচন পরবর্তী অশান্তিতে রক্তগঙ্গা বইল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এলাকার ন্যাজাট থানার হাটগাছি গ্রামে। শনিবার বিকেলে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে ৪টি তরতাজা প্রাণ ঝরে যায়। যা নিয়ে গতকাল থেকেই চরম চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে এবার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকটি বৈঠক করতে পারেন তিনি।বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আগামিকাল তিনি দেশে ফেরার পরই বৈঠকে বসতে পারেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তবে সবার নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের দিকে। কারণ বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই অমিত শাহকে ঘটনাটির রিপোর্ট পাঠিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের কাছেও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিষয়টির উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করুক অমিত শাহের মন্ত্রক। কিন্তু রাজ্যের রিপোর্ট খতিয়ে না দেখা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।রাজ্যপালের দিল্লি ছুটে যাওয়ায় অবশ্য আরেকটি জল্পনাও দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তা হল, রাজ্যে কি তবে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার দিকে এগোচ্ছে বিজেপি? কর্মী সমর্থকদের চাহিদা এমনটা হলেও কেন্দ্রের এখন এহেন কোনও পরিকল্পনা নেই বললেই চলে।অন্যদিকে গতকালের ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত উত্তেজনা বর্তমান সন্দেশখালি জুড়ে। বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, স্থানীয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ শাহাজানের নেতৃত্বেই এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের গুণ্ডারা। তিনি অবশ্য বলছেন, ওই এলাকা সম্পর্কে জানাই নেই তাঁর। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছেন, বিজেপিই প্রথম হামলা চালায় তৃণমূলের মিছিলে। এদিনই আবার নিহতদের পরিবারবর্গের সঙ্গে দেখা করতে এলাকায় যাবে বিজেপির প্রতিনিধি দল। এখন গোটা রাজ্য জুড়েই চলছে নির্বাচন পরবর্তী হিংশার রাজনীতি। দেখাযাক এর শেষ কোথায়।