সংগৃহীত খোলা চিঠি ,অয়ন বাংলা নিউজ:- এনআরএস থেকে বলছি: ডাক্তার বাবুরা দয়াকরে এবার বন্ধ করুন এসব। আর কত লাশের বিনিময়ে নিজেদের দাবি আদায় করতে চান? লজ্জাকরা উচিত আপনাদের। সাধারন মানুষ এখনও ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন সেটাই আপনাদের কপাল ভালো।
সকাল থেকে ছিলাম এনআরএস হাসপাতালে। চোখের সামনে একের পর এক মৃত লাশ বেরোতে দেখে শিউরে উঠছিলাম! চিকিৎসা গাফিলতির কারনে মারা গেলেন বসিরহাট খোলাপোতার বাসীন্দা বছর ৪২ এর আশালতা বিশ্বাস। কথা হল তাঁর ছেলে রাহুল বিশ্বাসের সঙ্গে। রাহুলের স্পষ্ট বক্তব্য, গতকাল রাতে মায়ের অপারেশনের পর যদি রক্ত দিতে গাফিলতি না করত তবে হয়ত মাকে আজ হারাতে হতনা। দুচোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিলো রাহুলের।
মাননীয় ডাক্তারবাবু আপনাদের প্রতি সহাভুতি রেখেই বলছি: কোরপানকে পিটিয়ে মারার ঘটনা কিন্তু মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। মানুষ কিন্তু ভোলেনি অর্ধশতাধিক কুকুরছানাকে নির্মমভাবে মেরে ফেলার ঘটনাটিও। তাই হাতজোড় করে অনুরোধ করছি বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করবেন না। অনেক কিছুই সামনে চলে আসবে। সাধারন মানুষ আর আপনার মধ্যে তৈরি হবে এক চরম বিভাজন।
ডাক্তার পেটানোর জন্য অপরাধী অবশ্যই শাস্তি পাক। যে বিষয়ে সকলেই একমত। কিন্তু সেটাকে হাতিয়ার করে রাজ্যজুড়ে এহেন অরাজকতা মানুষ কিন্তু কোনভাবেই মেনে নেবে না। সাধারণ মানুষই কিন্তু আপনাদের বিরুদ্ধে চলে যাবে।
মালদা থেকে গত বুধবার কোমরে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে এসেছিলেন সনেকা দাস। ডাক্তার বাবুরা অপারেশন করবে বলে ডেটও দিয়েছিলেন। কিন্তু অপারেশন পড়ে থাক, ডাক্তার বাবুরা তাঁর সঙ্গে কথায় বলতে চায়ছেন না। খোলা আকাশের নীচে দিন রাত এক করেই তাই সময় কেটে যাচ্ছে সনেকা দাসের। কথা বলেছিলাম তাঁর সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য,-“ডাক্তারকে যে বা যারা মেরেছে তারা অবশ্যই শাস্তি পাক। কিন্তু একজনের জন্য এভাবে আমাদের মতো গরিব মানুষদেরকে বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকতে হবে সেটা কি করে হয়! কেমন ডাক্তার এরা!”
তাই বলি ডাক্তারবাবু, সাধারণ মানুষকে এবার নিস্তার দিন। ভগবান হওয়ার চেষ্টা না করে মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুন! তাহলে দেখবেন মানুষই আপনাকে আগলে রেখেছে।
(সৌজন্য বেঙ্গল টাইমস )