অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্কঃ-এ কেমন সহিষ্ণূতা ,এ কেমন মানবতা ,আবার নৃসংশ ভাবে খুন । ঝাড়খন্ডে গণপ্রহারে মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। এই ঘটনায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য দুই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাবরেজ আনসারির গণপ্রহারে মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ।
গণপ্রহারে নিহত তাবরেজের স্ত্রী শাহিস্তা পারভীন জানিয়েছেন, তাবরেজকে নির্মম ভাবে মারা হয়েছে কারণ সে একজন মুসলিম ছিলো। আমার আর কেউ নেই। আমার স্বামীই আমার একমাত্র ভরসা ছিলো। আমি বিচার চাই।
তাবরেজের পরিবারের অভিযোগ বারংবার পুলিশকে বলা সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ থেকে তাবরেজের চিকিৎসার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে তারভেজকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি এবং দীর্ঘক্ষণ বিনা চিকিতসায় ফেলে রাখার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে গত মঙ্গলবার বন্ধুদের সঙ্গে জামশেদপুর থেকে সরাইকেলা খারসোয়ান অঞ্চলে বন্ধুদের সঙ্গে নিজের বাড়িতে ফিরছিলো তারভেজ। তাঁর বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে এক উত্তেজিত জনতা মোটরবাইক চুরির অভিযোগে তাঁদের ওপর চড়াও হয়।
মোটরবাইক চুরির অভিযোগ তুলে তাবরেজকে এক লাইটপোস্টের সঙ্গে বেঁধে কয়েকঘণ্টা ধরে বেদম প্রহার করা হয়। এই ঘটনার ভিডিও তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা গেছে তারভেজকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ বলতে বাধ্য করে। বুধবার সকালে অচেতন তারভেজকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তাবরেজের হত্যার ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এরপর ঝাড়খন্ডের বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় সিট গঠন করা হয়েছে। সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এই ঘটনাকে যথোপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে না দেখার জন্য এবং সময়মত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রশাসনকে না জানানোর জন্য দুই পুলিশ অফিসার চন্দ্রমোহন ওঁরাও এবং বিপিন বিহারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর তীব্র ধিক্কার জানিয়ে শুরু হয়েছে নিন্দা প্রতিবাদ।