অয়ন বাংলা,নিইজ ডেস্ক:-সাংসদে এন আরসি ইস্যুতে প্রতিবাদ করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে লোকসভা তুলকালাম করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর প্রথম বাদল অধিবেশন শুরু হয় গতসপ্তাহে। আর শুরু থেকে আগ্রাসন দেখালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। কেন্দ্রের শাসক দলকে ঠুকে তিনি বলেন, সংসদের সদস্যরা নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ দিতেই যদি ব্যর্থ হন তাহলে আপনারা কিসের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের কাছে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইছেন? যারা ৫০ বছর ধরে দেশে থাকছেন তাঁদেরকে বাধ্য করছে প্রমাণ দেখাতে?
এনআরসি ইস্যু সামনে আসতেই তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে অসম ছুটে যান মহুয়া। কিন্তু বিমানবন্দরেরই পথ আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। প্রতিবাদ করায় তাঁর জেরে পুলিশের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এবার সেই ইস্যুকেই ব্রহ্মাস্ত করে সাংসদ জীবন শুরু করলেন মহুয়া। তাঁর কথায় উঠে এসেছে হিন্দিভাষী কবিদের পঙক্তি। কখনও রামধারী সিং দিনাকর আবার কখনও কবি রাহেত ফতে ইন্দোরিকে উদ্ধৃত করেন মহুয়া মৈত্র।
তিনি বলেন, উগ্র জাতীয়তাবাদ ছড়ানোর চেষ্টা শাসকদলের চিরকালের। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিছু নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে ‘না ইনসাফি’ করা হচ্ছে। শাসক দলকে এক হাত দিয়ে তৃণমূলের সাংসদ ইন্দোরির বিখ্যাত লাইন উদ্ধৃত করে বলেন, ‘সাভি কা খুন হ্যায় সামিল ইহাঁ কি মিট্টি ম্যায় কিসি কে বাপ কা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যায়।’
মোদী জমানায় অপরাধমূলক কাজের পরিমাণ গগণচুম্বী হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। পাশাপাশি গণপিটুনি নিয়েও গেরুয়া শিবিরকে তুলধনা করেন। তাঁর ভাষণে উঠে আসে পেহেলুখান হত্যা থেকে সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনির জেরে মৃত্যুর ঘটনা। জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, দেশের মানুষ ভয়ের পরিমণ্ডলে বাস করছে, কাল্পনিক উগ্র জাতীয়তাবাদের দ্বারা দেশের গণতন্ত্র নষ্ট করা হচ্ছে। মহুয়া বলেন, এই একনায়কতন্ত্রের সরকারের জামানায় সেনার সাফল্যকে মোদীর সাফল্য হিসেবে দেখানো হচ্ছে। ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির মাধ্যমে দেশের সাম্য নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। এই সরকার অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে দেশটাকে। তৃণমূল সাংসদের ভাষণের পরই অবশ্য পাল্টা জবাব দেন দিলীপ ঘোষ।