অয়ন বাংলা,ওয়েব ডেস্ক:- মাটির নীচেই থাকে খনিজ সম্পদ এটা সবার জানা ,কিন্তু যদি পাওয়া যায় হাতের কাছে তাও আবার মর্হাঘ প্রেট্রল ।সেই রকম এক ঘটনা আসানসোলে ,খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে । মূল্যবান খনিজ সম্পদ কয়লার মতই আসানসোলে মাটির নিচে পাওয়া যাচ্ছে পেট্রল! শহরের রামবন্ধু এলাকায় এই খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে ঝড়ের গতিতে। কিছু বোঝার আগেই বুধবার সকালে বোতল, তেলের ডিব্বা, এমনকী বালতি নিয়ে সব হাজির হয়ে যায় ঘটনাস্থলে। সবাই নিতে চাইছে মাটির তল থেকে বেরিয়ে আসা ওই তেল।
মূল্যবান খনিজ সম্পদ কয়লা আসানসোল-রানিগঞ্জে মাটির নিচে পাওয়া যায় একথা সবার জানা। কিন্তু খাস শহরের বুকে মাটির নিচ থেকে পেট্রল কীভাবে আসছে সে ব্যাপারে জানার আগ্রহ নেই লোকের। বরং আগ্রহ, বোতলে কতটা তেল ভরে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই দিকে। মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসা পদার্থ পেট্রল কিনা তা নিশ্চিত হতে অনেকে আবার গন্ধও শুঁকছেন। কেউ বা আগুন জ্বালিয়ে দেখে নিচ্ছেন। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে চলে এইভাবে লুটপাট। কম করে এক কুইন্টালের উপর তেল এদিন লুট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এখন প্রশ্ন সত্যিই কি আসানসোলে তেল পাওয়া যাচ্ছে? বছর কুড়ি আগে এখানে পেট্রল পাম্প ছিল। তখন একটি দু্র্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। তখনই ওই পেট্রল পাম্পে আগুন লেগে যায়। তারপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় পাম্প। পাম্পের বিল্ডিং না থাকলেও মাটির নিচে সেই পাম্পের ট্যাঙ্ক এখনও রয়ে গিয়েছে। রয়ে গিয়েছে পাইপ লাইনও। এখন জলের লাইনের মাটি খুঁড়তে গিয়ে ওই পাইপ ফেটেই এই বিপত্তি।
পুরনিগমের পাইপ লাইন পাতার জন্য বড় বড় জেসিবি মেশিন দিয়ে চলছে মাটি কাটার কাজ। এর ফলেই কোনওভাবে ওই পেট্রলের পাইপ লাইনটি ফেটে যায় ও তেল বের হতে শুরু করে। স্থানীয় ব্যবসায়ী নিখিলেশ উপাধ্যায় বলেন, “আমরা সবাইকে মানা করলাম যেন এই তেল কেউ না নেয়। অনেক পুরনো তেল। জল কাদাও মিশে থাকতে পারে। এই তেল গাড়িতে ভরলে ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সবাই ফ্রিতে তেল ভরতেই ব্যস্ত।” আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি সেন্ট্রাল সায়ক দাস বলেন, “ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার পরিস্থিতি হয়েছিল, পুলিশ সামাল দিয়েছে।” আসানসোল পুরনিগমের জলবিভাগের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় বলেন, “শহরজুড়েই জলের নতুন পাইপ লাইন পাতার কাজ চলছে। কিন্তু মাটির নিচে এভাবে তেলের ট্যাঙ্ক বা তেলের লাইন ফেলে রাখা মোটেও সুরক্ষিত নয়। যে কোম্পানির পাম্প ছিল তাদের পরিত্যক্ত ট্যাঙ্ক ও পাইপ লাইন উপড়ে ফেলার জন্য চিঠি পাঠানো হবে। আপাতত ওই ফাটা পাইপটি সিল করা হয়েছে।”
কিন্তু বাস্তবে কোথায় খনিজ প্রেটোল !