অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক :- কাট মানি এখন বিজেপি নেতার পকেটে ,এই নিয়ে পোষ্টার পড়ল বসিরহাটে সায়ন্তনবসুর বিরুদ্ধে ।জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম মহকুমা শহর বসিরহাটের শরৎ বিশ্বাস রোড, টাউন হল সংলগ্ন এলাকা, বোটঘাট এলাকা ও শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়েছে সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে। সেই পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, সায়ন্তন বসু এবছর বসিরহাট থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াবার জন্য দলের তরফে পার্টি ফান্ড থেকে দু কোটি টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকা তিনি ভোট কর্মীদের দেয়াল লিখন ও পোস্টার ছাপানোর খরচ বাবদ না দিয়ে তা দলেরই রাজ্য নেতা সুব্রত চ্যাটার্জী, বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গণেশ ঘোষ, এলাকার দলীয় নেতা দুলাল রায়, সঞ্জীব সরকার, মমতাজ সরকার সহ বেশ কিছু নেতাকে কাটমানি বাবদ প্রদান করেছেন। আর সেই পোস্টার ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন।
গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে রাজ্য জুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে কাটমানি ইস্যু। তার জেরে সব থেকে বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদেরই। গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতা থেকে শুরু করে পুরসভার কাউন্সিলার, জনপ্রতিনিধি নন এমন নেতা মায় জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধেও উঠেছে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ। এই সব অভিযোগ তোলার পিছনেও একট বড় ভূমিকা হিসাবে কাজ করেছে বিজেপির উস্কানি ও বিক্ষোভ ঘেরাও কর্মসূচি। এবার বিজেপির দিকেও কিন্তু উঠতে শুরু করেছে কাটমানির অভিযোগ। ঠিক যেভাবে তৃণমূল নেতা, কর্মী, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়ে কাটমানি ইস্যু খুঁচিয়ে তোলা হয়েছে ঠিক সেভাবেই এবার পোস্টার পড়ল বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে। তাও সেটা এমন একটা জায়গায় যেখান থেকে হালেই ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বসু।
এ বিষয়ে বসিরহাট বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গণেশ ঘোষ বলেন যে, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমার কাছে এসে টাকা চান। কোন নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। যারা সায়ন্তন বসুকে বহিরাগত প্রার্থী হিসেবে বলেছিল তারাই আজ এই পোস্টার ছাপিয়ে দলের বদনাম করছে। বিজেপির একাংশ নেতাকর্মীরাই এই ঘটনায় জড়িত। এই সব পোস্টার দিয়ে রাজ্যের নেতাদেরই খারাপ করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা সর্বৈব মিথ্যা। ভিত্তিহীন কোন অভিযোগ থাকলে লিখিত অভিযোগ জানান।’