অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:- হালিশহর পুরসভার কাউন্সিলাররা আবার পাল্টি খেলেন ।ঘরের ছেলে ঘরেই ফিরলেন । দু’মাসের মধ্যেই ‘ঘর ওয়াপসি’। দু’মাস আগে BJP নেতা মুকুল রায় ও তাঁর ছেলে শুভ্রাংশুর হাত ধরে দিল্লিতে গিয়ে BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন হালিশহর পুরসভার ৮ কাউন্সিলর। মঙ্গলবার ফের তৃণমূল কংগ্রেসেই ফিরে এলেন তাঁরা। বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে কাউন্সিলরদের ‘ঘর ওয়াপসি’ ঘোষণা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এর ফলে হাতছাড়া হওয়া হালিশহর পুরসভা ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে এল।
২৯ মে একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলরকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দিয়েছিলেন BJP নেতা মুকুল রায়। এই দলবদলের ফলে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর এবং নৈহাটি পুরসভা তৃণমূলের হাত থেকে BJP-র দখলে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন মুকুল। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সেদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘চাপের মুখে ওদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ যাঁরা BJP-তে গিয়েছেন, কয়েক দিন পরই দেখবেন তাঁরা তৃণমূলে ফিরে এসেছেন।’
আজ সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী জানান, ‘BJP-তে যাওয়া কাউন্সিলরদের আজ তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হল। এঁদের জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বন্দুক দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল ওখানকার নতুন সাংসদ। অমিত শাহের সামনে যত বেশি লোক নিয়ে যাবে, তত মিস্টার রায় ও মিস্টার সিংয়ের স্কোর বাড়বে।’
গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ওদের ওই মুখে গুটখা পরিবেশে এই কাউন্সিলরদের হাঁসফাঁস অবস্থা হচ্ছিল। ওরা তাই ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভালোবাসার পরিবেশে ফিরে এল। হালিশহর তৃণমূলের ছিল, আছে, থাকবে।’
ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। বলেছেন, ‘ভাটপাড়ায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে অর্জুন সিং। তবে এলাকা এখন পুলিশের কন্ট্রোলে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক আছে। অর্জুন বাহিনী এরপর সন্ত্রাস করলে জেলে যেতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ১২ সদস্যের হালিশহর পুরসভায় ৮ জন কাউন্সিলর দিল্লিতে গিয়ে BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন। চার জন তৃণমূলেই ছিলেন। তবে বাকি ৮ জন এবার ফিরে আসায়, পুরসভা ফের তৃণমূলের দখলে। এই মাত্র খবর সব্যসাচী ঘোষণা করলেন যে তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না।