নিজস্ব সংবাদদাতা ,ডোমকল,মুর্শিদাবাদ:- ডোমকলের মুকুটহীণ বাদশার পতন ঘটল । অবশেষে জট কাটল ডোমকল পুরসভায়৷ অনাস্থা প্রস্তাব এনে ভোটাভুটির মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হল ডোমকল পুরসভার পুরপ্রধান সৌমিক হোসেনকে৷ এদিন যদিও সৌমিক হোসেন সহ তার ৬ অনুগামীর অনুপস্থিতিতেই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়৷ সৌমিক হোসেনের পদত্যাগ চেয়ে পুরসভার ১৫ জন কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন৷ তাঁর কর্মকাণ্ড ও দুর্ব্যবহারের জেরেই তারা পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে বাধ্য হয়েছেন এমনটাই জানিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা৷ ১৫ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া হয়৷ তারপরেই ইস্তফা দেননি ডোমকল পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন। তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণ ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে অবশেষে সৌমিক হোসেন পদত্যাগে সম্মত হলেও ইস্তফা দিতে দেখা যায়নি তাকে৷ ২৩ জুলাই ইস্তফা দেওয়ার কথা থাকলেও তার দেখা মেলেনি৷ তাই এবার ডোমকল পুরসভায় অনাস্থা আনল কাউন্সিলররা৷
ডোমকল পুরসভার পুরপ্রধান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল দলের পনেরো জন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর। ১ জুলাই ডোমকল মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত আকারে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা।নির্ধারিত পনের দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেননি পুরপ্রধান। এমনকি তিনি ইস্তফাও দেননি। ফলে জটিলতা তৈরি হয় ডোমকল পুরসভায়। ব্যহত হয় সাধারণ কাজকর্মও।
বৃহস্পতিবার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ চাকি তলবি সভা আহবান করেন। এদিন দলের পনের জন কাউন্সিলর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। যতদিন না অন্য কেউ পুরপ্রধান নির্বাচিত হন ততদিন পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ চাকি। পরবর্তী চেয়ারম্যান দলই ঠিক করবেন বলে জানান বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। পরবর্তী পুরপ্রধান কে হন এখন সেটাই দেখার। এই নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান উতোর