নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা :-এরা মানব নামের কলঙ্ক ,জয় শ্রী রামের নামে মানুষ খুন ,বিধায়কের হাত থরে টানাটানি বিধানসভায় ।এরা মানব নামের কলঙ্ক। ‘ইরফান ভাই আমি তোমাকে বলছি জয় শ্রীরাম বলো।’ এই দৃশ্যই দেখা গেল ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বাইরে। বৃহস্পতিবার বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়ক ‘জয় শ্রীরাম’ বলা নিয়ে রীতিমতো জোর জবরদস্তি করেন। যার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, বিজেপি বিধায়ক সিপি সিং খানিক জোরপূর্বক এক কংগ্রেসি বিধায়ককে বলছেন ‘ইরফান ভাই আমি তোমাকে বলছি জয় শ্রীরাম বলো।’ এরপরে তাঁকে দেখা যায় ওই কংগ্রেসি বিধায়কের হাত ধরে বলতে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য প্ররোচিত করতে।
বিজেপি বিধায়ক এমনও বলেন, ‘আপনার পূর্বপুরুষরা জয় শ্রীরামওয়ালে ছিল, বাবরওয়ালে না।’ এরপর আর চুপ না থাকতে পেরে কংগ্রেসের ওই জনৈক বিধায়ক ইরফান আনসারি বলেন, ‘রামের নাম আপনারা উস্কানির কাজে ব্যবহার করছেন। এভাবে আসলে রামের নামই খারাপ করছেন আপনারা। এই মুহূর্তে আমার প্রয়োজনের তালিকায় কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ, জল এবং নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে। যা অনেক বেশি প্রয়োজন।’ এই শুনে পাল্টা সিপি সিং বলেন, ‘আপনাকে ভয় দেখানোর জন্য আমি এসব করছি না। ভুলে যাবেন না আপনার পূর্ব পুরুষরা বাবর, তৈমুরের নামে জয়ধ্বনি করেননি। রামের নামে করেছিলেন।’ যদিও এই কথোপকথনের মধ্যে দু’জনকেই হাল্কা মেজাজেই দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি বিধায়ক যে কংগ্রেস বিধায়কদের হাত ধরে খানিকটা ‘বলপূর্বক’ জয় শ্রীরাম বলানোর চেষ্টা করেছিলেন তা কারোর নজর এড়িয়ে যায়নি।
দিনকয়েক আগেই ঝাড়খণ্ডের এক বর্বরোচিত ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৪ বছরের এক যুবককে পিটিয়ে মারা হয়। অভিযোগ তাঁকে জোর করে জয় শ্রীরাম বলানো হচ্ছিল। যেই ঘটনার ভিডিও ভাইরালও হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের এমন অরাজকতাময় পরিস্থিতিতে দেখ দেশের ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীকে একজোটে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি পাঠান। তাঁদের দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী যেন দেশের বিপর্যস্ত গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির দিকে ব্যক্তিগত ভাবে নজর দেন।
অপরদিকে এদিন সুপ্রিমকোর্টের তরফে কেন্দ্র তথা ১০টি রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়। গতবছর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যে নির্দেশ গুলি দিয়েছিল সে বিষয়ে কতটা কার্যকরী হয়েছে সরকার। কিন্তু শীর্ষ আদালত যাই বলুক না কেন, বিধানসভা ও লোকসভার মতো গণতান্ত্রিক স্থানও যখন ‘জয় শ্রীরাম’ ও আল্লা হু আকবর ধ্বনির আখড়ায় পরিণত হয়, তখন গণতন্ত্র প্রকৃতপক্ষে এককোণায় বসে কাঁদে। যেই প্রমাণ এদিন কার্যত হাতেনাতেই পাওয়া গেল ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ।
আজ ভারতীয় সংবিধান ,গণতন্ত্র যে বিপন্ন এটাই তার যথেষ্ট প্রমান।