বঙ্গীয় গ্রামিন বিকাশ ব্যাঙ্কের পাশলা শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে হ্যানস্থার অভিযোগ
নিজেস্ব সংবাদদাতা,অয়ন বাংলা,মুর্শিদাবাদ; সারা দেশে যখন কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের প্রকল্প কে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারি ব্যাঙ্ক গুলি কৃষকদের কৃষি লোন দিতে বদ্ধপরিকর । ঠিক সেই অবস্থানে দাঁড়িয়ে মানুষ উপেক্ষিত হচ্ছে বঙ্গীয় গ্রামিন বিকাশ ব্যাঙ্কের পাশলা শাখায়।
প্রায় গত ছয় মাস আগে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক একটা কৃষান ক্রেডিট কার্ডের জন্য দরখাস্ত করেন সহ-কৃষি অধিকর্তা, নবগ্রাম ব্লক কৃষি দপ্তরে, কৃষি দপ্তর গত ২য় ফেব্রুয়ারি তে মেমো নং ফেলে বঙ্গীয় গ্রামিন বিকাশ ব্যাঙ্কের পাশলা শাখার ম্যানেজারের কাছে পৌঁছে দেয় অফিসের নিয়ম মেনে। তার পর অতিক্রান্ত হয়েছে প্রায় ছয় মাস কিন্তু ব্যাঙ্কের কোনো ঘুম ভাঙেনি এখনও। ছাত্র নেতা মিজানুর বাবু অভিযোগ করে বলেন যে ‘তিনি আজ পর্যন্ত ষোলো থেকে সতের বার ঘুরে এসেছেন তবুও ম্যানেজারের কোন সাড়া মেলেনি, উপরন্তু যাবতীয় কাগজপত্র জমা করে দিয়েছেন তিনি। গভার্নমেন্ট এর অর্ডার মোতাবেক সেই লোন পনেরো দিনের ভিতরেই গ্রাহককে প্রদান করা হয়’।
ছাত্র নেতা মিজানুর বাবু আরও বলেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অফিসে বসে আমলাতন্ত্র শুরু করেছে, এই ব্যাপার টা মুর্শিদাবাদ জেলা লিড ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অমিত কুমার রায় কেউ জানান হয়েছে, তবুও কোন সুরাহা মেলেনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হতে’। মিজানুর বাবু কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন “ফার্দার বড়ো সড়ো স্টেপ নেওয়া হবে কেননা এই আমলাতেন্ত্রর জন্যই তৃণমূলের ভাব ভঙ্গিতে মানুষ আস্থা হারাছে সারা রাজ্য জুড়ে”। আরও বলেন ‘তিনার মতো সচেতন নাগরিকদের যদি এই রকম হ্যারাসমেন্টের মুখে পড়তে হয় তবে সাধারণ চাষীদের কাছে কী রকম পরিষেবা প্রদান করছে স্টেট ব্যাঙ্কার’স কমিটি, এবং কৃষি দপ্তরের আমলারা’।
ছাত্র নেতা মিজানুর বাবু আরও অভিযোগ তুলেন, বঙ্গীয় গ্রামিন বিকাশ ব্যাঙ্কের পাশলা শাখার আধিকারিকরা প্রতি কৃষান ক্রেডিট কার্ডের দরখাস্তকারীদের কাছে দুশো-তিনশো টাকা কাট-মানি নিয়ে থাকে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি ছাত্র সংগঠন নিয়ে পথসভা করার আহ্বান জানান । এই কার্যকলাপ কে সচ্ছ ভাবমূর্তি তে ফিরিয়ে আনতে তিনি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন অর্থ মন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রীর কাছে, সর্বোপরি তিনি বলেন এই দেশ গণতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত আমলা তন্ত্র দ্বারা নয়।