PCOS/PCOD: পার্ট ১
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বহু দূরূহ ও অজানা ( যদিও Idiopathic/Genetic/Autoimmune বলে পরিচিত) রোগ আমাদের মধ্যে বিচরণ করছে! তন্মধ্যে, মেয়েদের PCOD/PCOD বা পলিসিষ্টিক অভারিয়ান ডিজিজ/সিন্ড্রোম এখন প্রায়ই মেয়েদের লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷
এতে সমস্যাগুলির মধ্যে যেগুলি রোগী বা রোগীর বাড়ির লোকজন সাধারনতঃ বর্ণনা দেন —
১) মাসিকের সময় তলপেটে প্রচন্ড যন্ত্রনা ৷
বা/এবং
২) মাসিক ঠিক ঠিক নির্দিষ্ট ইন্টারভেলে হয়না৷
বা/এবং
৩) মাসিকের রক্তস্রাব অতিঅল্প ৷
বা / এবং
৪) মাসিকের রক্তস্রাব অতিবেশী বা বন্ধ হয়না৷
বা /এবং
৫) বিবাহিত হলে, সন্তান ধারণে অক্ষমতা বা সহজে পেটে বাচ্চা আসেনা৷
বা/এবং
৬)সাদাস্রাব
PCOS এর একচুয়াল কিউরেবল ট্রিটমেন্ট এখনও অধরা!!!
কারণ, এই রোগের প্রকৃত কারণ এখনও অধরা!!
যতটুকু ম্যানেজমেন্ট বা ট্রিটমেন্ট আছে তা সবটাই ফিজিওলোজিক্যাল হরমোনাল বা সিম্পটোমাটিক৷
কিন্তূ, আশার বিষয় হল— এই রোগটি জেনেটিকও নয়; অটোইমিউনও নয় ; আবার ইডিওপ্যাথিকও নয়৷
এর জন্য একটি নির্দিষ্ট কারণ আছে৷
যেটাকে ধ্বংশ করতে পারলে PCOS /PCOD তো নির্মূল হবেই; সাথে সাথে রোগীর সমস্যাগুলিও যাবে৷ উপরন্তূ, ঐ একই কারণ থেকে আনুষঙ্গিক যে সমস্যা বা রোগগুলি হয় , সেগুলিও যাবে —
1) Migraine or chronic headache
2) Fatty liver
3) Weight gain
4) Dyspepsia
5) Chronic constipation
6) Mood swings/Depression/Anxiety
7) Thyroid Disorders
8) Mayalgia /Leg cramps
9) Bulky uterus/ Adenomyosis
10) Endometriosis
11) Joints pain
12) Palpitation
13) Generalised Weakness
উপরিউক্ত সকল সমস্যাগুলি একসঙ্গে থাকতেও পারে( বয়স ৩৫—৪০) , আবার নাও পারে৷ তবে , সমস্যাগুলি একের পর এক আসতে পারে ( খাদ্যাভ্যাস বা ইমিউনিটির উপর ডিপেন্ডেবল) ৷ সমস্যাগুলির রুট কারণ কিন্তূ একটাই!!!
হ্যাঁ, একটাই৷
বিস্তারিত অন্যদিন৷
ধন্যবাদ , সকলকে৷ সুস্থ থাকা ও সুস্থ হওয়া সবার মৌলিক অধিকার৷ আপনার শরীর সর্বদায় আপনার স্বপক্ষে থাকে৷ মানুষের দেহ সৃষ্টিকর্তার নিজ হাতের স্পর্শে তৈরী করা অতি নিপুন ও পরিকল্পিত , সুসংহত ও সুসজ্জিত সৃষ্টি৷ অতএব, এই সৃষ্টিতে জীনগত ত্রুটি বা জেনেটিক ত্রুটি মনে করাও সীমালঙ্ঘন করা হবে৷
পার্ট ২:
গত পর্বে এই বিষয়ে সমস্যার ধরণ ও বিচরণ নিয়ে আলোচনা করেছি খুবই সংক্ষিপ্তভাবে৷
আজকে আলোচনা হবে ইটিওলজি, প্যাথোজেনেসিস ও ট্রিটমেন্ট নিয়ে৷
এপস্ষ্টেন বার ভাইরাস( EBV) বর্তমান যুগে ব্যাপকহারে মানুষের শরীরে বাসা বেঁধেছে৷ এক দেহ থেকে অন্য দেহে এর ট্রান্সমিশনটা নানাভাবে হয়ে থাকে৷ যে কোন বডি ফ্লুয়্যুড (থুথু,সিমেন,ব্লাড, প্লাসেন্টাল ট্রান্সফিউশন,সিরাম) এক দেহ থেকে অন্যদেহে অনুপ্রবেশ করলেই (যদি প্রেভিয়াস পার্সন EBV ইনফেক্টেড থাকে) জীবাণুটি ট্রান্সমিটেড হয়৷
১৯৮০ সালের পর থেকে এর বাড়বাড়ন্ত অত্যাধিকহারে দেখা দিতে শুরু করে৷ উপরন্তূ,এই সময়কাল থেকেই চাষাবাদে ব্যাপকভাবে জৈব থেকে অজৈব সার ও কীটনাশক ব্যবহার শুরু হয়৷ ক্রমাগত এর ব্যবহার বাড়তেই থাকে৷ যে কোন কীটনাশকের অধিকাংশ ভরটাই হয় হেভি মেটালস যেমন- মারকারী, কপার, এলুমিনিয়াম, আর্সেনিক প্রভৃতি এর জন্য৷ এগুলি উৎপাদিত ফসলে , ফলে, পাতায় সন্চিত হয়৷ সেই ফসল আমরা পতঙ্গমুক্ত করতে পারি ঠিকই৷ কারণ, এর বিষাক্ততায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবগুলি অক্সিডেটিভ ডেমেজে , অর্গানোফসফরাসের প্যারাসিম্পেথেটিক একসনে জীবিত থাকতে পারেনা! সন্চিত অর্গানোফসফরাস ও হেভি মেটালসের স্বল্পমাত্রা খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের দেহে অনবরত এবং অনবরত প্রবেশ করেই চলেছে৷ অনুপ্রবিষ্ট হেভি মেটালসের কিয়দংশ লিফোফিলিক একসনের জন্য লিভারে ও ইন্টেষ্টিনে জমতে থাকে৷ এই সন্চিতকরণের প্রক্রিয়া সৃষ্টির মহুর্ত থেকে চলছেই৷ দেহ অনবরত অক্সিডেসনের প্রভাবে স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতিতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেই৷ উপরন্তূ, এই হেভি মেটালস আবার যেকোন প্যাথোজেন —ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতির আইডিয়াল ফুয়েল বা ফুড৷ ফলতঃ ইনফেকটেড পার্সন আরও তীব্রভাবে ঔ ভাইরাসের আক্রমনের শীকার হন৷ এছাড়াও, আরও ২১ রকম ট্রিগার ফ্যাক্টরের উপস্থিতি থাকলে, ঐ জীবাণুটি শক্তি ও সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়৷
জীবাণুটি অনুপ্রবেশ হলে, ৪ টি স্টেজে দেহের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে৷
১ মঃ অনেকাংশে এই স্টেজে মনোনিউক্লিওসিস ঘটায়৷ টনসিলাইটিস, ফ্যারিন্জাইটিস( সহায়ক) বা আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্টের সাধারণ সমস্যাগুলি ঘটায়৷ এক্ষেত্রে, কো ফ্যাক্টর স্ট্রেপ ব্যাকটেরিয়া সবসময় থাকে৷ এই স্টেজ অতিক্রান্ত হলে, হোষ্টের ইমিউনিটির শক্তি অনুযায়ী জীবাণুটি গ্রেট লিম্ফ্যাটিক অর্গান লিভার ও স্প্লিনে ডর্মান্ট থাকে৷ এই অবস্থায় কোন সিম্পটমস বা সমস্যা থাকবেনা৷ ওই অবস্থা ০-১৫ বছর থাকতে পারে , ইমিউনিটির স্বাপেক্ষে৷ আবার, কোনদিনই পরবর্তী স্টেজে নাও যেতে পারে৷ পুরোটাই নির্ভর করছে হোষ্টের ইমিউনিটি ও ট্রিগার ফ্যাক্টরের উপর৷
২য়ঃ এই স্টেজে জুবাণুটি লিভার ও স্প্লিনে প্রলিফারেট করে ও ঐ অর্গানগুলিকে স্টাগনেন্ট ও ম্যালফাংশানাল করে দেয়৷ লিভার বৃদ্ধি হয়( হেপাটোমেগালী, প্রে ফ্যাটি, কনজেষ্টেড, স্টেওহেপাটিইটিস প্রভৃতি) ৷ বাইল এর কোয়ালিটি ও কোয়ান্টিটি কমে গেলে ধীরে ধীরে পেটের যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হয়৷
লিম্ফ্যাটিকস ও ব্লাড সারকুলেশনের মাধ্যমে ঐ জীবাণুটি লেস ইমিউন এরিয়াগুলিতে জমা হতে শুরু করে৷ তার মধ্যে প্রজনন অঙ্গ বিশেষকরে মহিলাদের এডনেক্সা, অভারি, ইউটেরাস, ভ্যাজাইনা , ব্রেষ্ট প্রভৃতিতে বেশী করে জমতে থাকে৷ কারণ, এই অঙ্গগুলির উপর স্টেরয়েড হরমোন ( ইষ্ট্রজেন, প্রজেষ্টেরন প্রভৃতি) বেশী কনশেন্ট্রশনে থাকে৷ আবার, যেকোন স্টেরয়েড ঐ জুবাণুটির অত্যান্ত প্রিয় ফুড৷ ফলে, এই অঙ্গগুলিতে এসে ভাইরাসটি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে৷ উপরন্তূ, হেভি মেটালস এক্সট্রা থাকলে তো আর কথাই নাই৷ ব্যাস! এর প্রকান্ড আক্রমন ও অত্যাচার শুরু হয়ে যায়৷ জেনারালাইজড্ সেল মেডিয়েটেড ইমিউনিটি ও লোকাল অর্গান স্পেসিফিক ইমিউনিটি প্রতিরোধ ও যুদ্ধে নেমে যায় দেহ ও অর্গানকে ঐ কালপ্রিটের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে৷ এই যুদ্ধেরই একটা স্পট হল— ওভারী বা ডিম্বাশয়৷ এইটাই আজকের আলোচনা৷
ওভারীতে যে আবরণ থাকে( পেরিথেলিয়াম)সেখানে যেই ভাইরাসটি আক্রমন সানাই, অমনি ওখানকার ইমিউন সেলগুলি( লিম্ফোসাইট) ভাইরাসটিকে ধ্বংশ করতে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উঠেপড়ে লাগে৷ নিউট্রোফিল ও অন্যান্য ইমিউন সেলগুলির বিশেষ কার্যকলাপে অভারীর উপর লেয়ারে জীবাণুগুলিকে ঘিরে ফেলতে ও ভিসসিড লিক্যুয়ুডে ঘিরে অক্ষম রাখতে লিক্যুয়ুড কনটেনিং ভেসিকল তৈরী হয়৷ এটাই সিষ্ট৷ এই সিষ্ট এক বা ততোধিক হতে পারে৷ জীবাণুর তীব্রতা অনুযায়ী পুরো ওভারীটাই পেরিফেরালী সিষ্টে ঢাকা থাকতে পারে৷ অথবা দুটোই অভারীতেই এরকম হতে পারে৷ এটাকেই পলিসিষ্টিক অভারী বলে৷
মাসিকের সময় যেহেতু অভারীতে FSH,LH Estrogen,progesterone হরমোনগুলির কনসেন্ট্রশন বৃদ্ধি পায়৷ ফলে, ভাইরাসের আক্রমনও বৃদ্ধি পায়৷ এজন্যই পেনফুল ( ঈমিউন সেল ও ভাঈরাসের পারস্পরিক যুদ্ধ হল ইনফ্লামেশন) মাসিক হয়৷
ওভারী থেকে ডিমটা ফুটে বের হয়ে আসতে পারেনা বলে বাচ্চা ধারণে অক্ষমতা আসে৷
সঙ্গে অন্যান্য প্রজনন অঙ্গে জুবাণুটি পৌঁছলে, আনুষঙ্গিক সিম্পটমসগুলিও আসবে৷
মডার্ণ এলোপ্যাথিক বা কনভেনশনাল মেডিসিনে এই বাস্তবতা বা সত্যতা অজানা বলে, হরমোনাল ম্যানেজমেন্ট হয় এই সকল সমস্যার জন্য৷
@প্রসঙ্গতঃ যেহেতু, এই স্টেজের প্রথম দিকে লিভার কার্যকারিতায় শতভাগ ঠিক না থাকার জন্য লিপিড মেটাবলিজমে গন্ডগোল তৈরী হয়৷ ফলে, ব্লাড ফ্যাট বাড়তে থাকে( যদিও সেই সূক্ষ পরিমাণটা ল্যাবে পরীক্ষায় আসবেনা) ৷ ইনসুলিন রেসিসটেন্সি বৃদ্ধি পায়৷@
কিন্তূ, হরমোনাল ম্যানেজমেন্ট সাময়িক ফিজিওলজিক্যাল সাপোর্ট করে বলে সাময়িক সুস্থতা অনুভূত হয় বটে৷ তবে, প্রকৃতপক্ষে সমস্যাটি আরও গভীর ও মারাত্মক আকার নিবে৷ কারণ, যে কোন স্টেরয়েডই জুবাণুটির শক্তি বৃদ্ধি করবে৷
তাহলে, প্রকৃত সমাধান কী?
১) জীবাণুটিকে দেহ থেকে নির্মূল করা বা ম্যাক্সিমাম পরিমাণে মেরে ফেলে দেহ থেকে নির্গমন করা৷ শুধু মারলেই হবেনা৷ কারণ, ডেড ভাইরাস ও তার বাই প্রোডাক্ট অন্যান্য বহু সমস্যা তৈরী করে৷
২)ভাইরাসটির ফুডস ও ট্রিগার ফ্যাক্টর রিমুভ করা৷
৩) দেহে বা প্রজনন সিস্টেমে হরমোনাল ব্যালান্স তৈরী করা হয়।
Natural Anti viral:
1) Cat’s Claw 2) Zaitus
Heavy metals remover:
1) Spriluna 2) Blueberry 3) Cilantro
Hormonal balance:
1)Chaste berry 2) Nettle leaf
@N.B: OCP, Stress,High protein & fat( animal) ,Plastic, Steroid,Petrochemicals, Chemical beauty materials, spray and many more.@