নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- রাহুল গান্ধী ইস্তফা দিয়েছেন । এক এক করে পেরিয়েছে অনেক কটা দিনই৷ কিন্তু এখনও কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি শতাব্দী প্রাচীন দল৷ ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় মাথায় নিয়ে দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী৷ তবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেনি৷ ৩ জুলাই পাকাপাকি ভাবে নিজের পদ ছেড়ে সেই কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করে দেন রাহুল৷ তারপর থেকে এখনও অবধি কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারেননি কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতারা৷
জানা গিয়েছে, ১০ অগাস্ট ফের বৈঠকে বসতে চলেছে সিডব্লুসির বৈঠক৷ সেদিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে কে ধরবেন কংগ্রেসের হাল৷ এগিয়ে নিয়ে যাবেন বর্তমানে মুখ থুবড়ে পড়া এই দলকে৷ অবস্থা এমনই যে লোকসভাতে বিরোধীদের মর্যাদাও পায়নি কংগ্রেস৷ দলের এই অবস্থায় কে হবেন কাণ্ডারি৷ অধীর আগ্রহে দিন গুনছে কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা৷
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওরার মত তরুণ মুখ যখন হারের দায় নিয়ে নিজেদের পদ ছেড়েছেন, তখন শক্ত হাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রাজীব তনয়া প্রিয়াঙ্কা৷ বরং তাঁর সক্রিয়তা যেন বাড়ছে৷ জলন্ত উদাহরণ- সোনভদ্রকাণ্ডে প্রিয়াঙ্কার ভূমিকা৷ উল্লেখ্য, জরুরি অবস্থার পর ভোটে হেরে গিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী৷ সেইসময় এক রাতে বিহারের বেলচি গ্রামে রওনা দিয়েছিলেন তিনি৷ সেখানেই উচ্চবর্ণের হাতে খুন হতে হয়েছিল বেশ কয়েকজন দলিতকে৷ সেই রাতে হাতির পিঠে চেপে ওই গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি৷ এরপর দেশের পরবর্তী ভোটে ফের জয় হাসিল করেছিলেন ইন্দিরা৷ অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, ইন্দিরার জয়ের নেপথ্যে অনেকটাই কাজ করেছিল সেই রাতের বিহারযাত্রা৷ ঠাকুমার সেই দৃঢ় চরিত্রের প্রতিচ্ছবিই এখন জ্বলজ্বল করছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মধ্যে৷ সে প্রবণতাই আরও উস্কে দিচ্ছে প্রিয়াঙ্কার পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার জল্পনা৷
কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা করণ সিংয়ের মতে, প্রিয়াঙ্কা এমন এক শক্তি যিনি একাই পারেন টালমাটাল এই সময়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে৷ করণ সিং জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কা অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এক নেত্রী, যিনি খুব ভালো বক্তাও৷ তিনি যে ভাবে সোনভদ্রায় গিয়ে নানা বাধা পেরিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তা প্রশংসনীয়৷ যদি তিনি কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হতে চান তাহলে সমস্যা কোথায়?
তবে নানা সূত্র থেকে আগেই জানা গিয়েছে যে প্রিয়াঙ্কা তাঁর বর্তমান দায়িত্ব নিয়েই খুশি৷ তাঁর নাম তিনি সভাপতির দৌড়ে জড়াতে চান না৷ রাহুলও জানিয়েছিলেন, পরবর্তী সভাপতি গান্ধী পরিবারের কেউ হবে না৷ তাহলে কে? কে ফেরাবেন দলের সুদিন? কে দেখাবেন আগামী পথ৷ কেই বা জোগাবেন তৃণমূল স্তরের কর্মীদের হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস? সেই উত্তরই খুঁজছে কংগ্রেস৷
সৌজন্য:- মহানগর