নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- বিজেপির বাড় বাড়ন্ত ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে। বিজেপি থেকে তৃণমূলে আবার আবার ফিরছে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির প্রশংসনীয় ফল কিছুটা হলেও শাসকদলের মাথার কারণ হয়ে উঠেছে৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক পালাবদল৷ রাজ্যে ধীরে ধীরে গেরুয়া শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতেই রক্তক্ষরণ ঘটেছে শাসকদলে৷ শিবির বদলেছে ঘাসফুলের অনেক তাবড় নেতা-কর্মীরা৷ ঘর খালি হলেও ঠিকই কিন্তু যারা সত্যই দলের প্রকৃত কর্মী তাদের ঘরওয়াপসি ঘটেছে তৃণমূলে৷ রাজ্যে শাসকদলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলে একের পর এক পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি৷ যার মধ্যে অন্যতম ছিল বনগাঁ পুরসভা৷ তবে সময় মতো মোহো কাটিয়ে ৪ কাউন্সিলরের তৃণমূলে ফিরে আসায় তৃণমূলের হাতেই থাকল বনগাঁ পুরসভা৷
বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেওয়া চার কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে ফেরত আসতেই তৃণমূল বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের হাতেই থাকল বনগাঁ পুরসভার ক্ষমতা। দলে ফেরা চার কাউন্সিলরকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, দলের কর্মী সমর্থকরা দলে ফিরতে চাইলে তাদের ফেরত নেওয়া হবে, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের দলে কোনও জায়গা নেই৷ লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই গেরুয়ায় রাঙা হয়েছিল তৃণমূলের একের পর এক পুরসভা৷ সেই তালিকায় থাকা গারুলিয়া, ভাটপাড়া, নৈহাটি, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, বনগাঁ একে একে হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের৷ তবে বিজেপির সাফল্য দেখে মোহাচ্ছন্ন হয়ে দল বদলালেও খুব অল্প সময়ের বিরতীতেই কাউন্সিলররা ফের তৃণমূলে ফিরেছেন৷ কাঁচরাপাড়া, হালিশহর পুরসভাতেও বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাউন্সিলরদের ঘরওয়াপসি ঘটেছে৷
এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন বনগাঁ৷ বনগাঁ পুরোসভায় ২২ টি আসনের মধ্যে একজন কাউন্সিলরের মৃত্যু হওয়ায় আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ২১ টি৷ যার মধ্যে ১১ জন কাউন্সিলর দিল্লি দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন৷ তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ অন্যদিকে বিজেপি হয়ে যায় ১১৷ এবার ৪ জন কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ১৪ জন কাউন্সিলর নিয়ে এখন বনগাঁ পুরসভা থাকল তৃণমূলের হাতেই৷