নিজস্ব সংবাদদাতা , অয়ন বাংলা:- পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত 235 টি আন এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন, ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিল ও পরিকাঠামোগত অনুদানের জন্য অতি শীঘ্রই রাজ্য সরকারের মন্ত্রীসহ বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ওয়েস্টবেঙ্গল রিকগনাইজড আন এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। গত 22 শে জুলাই গঠিত এই নতুন সংগঠনটি ইতিমধ্যে 30 শে জুলাই প্রেস কনফারেন্স করে সরকারের কাছে ও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মানবিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যে শিক্ষকদের নিদারুণ কষ্ট যন্ত্রণা উপলব্ধি করে অবিলম্বে সকল শিক্ষক শিক্ষিকার বেতনের ব্যবস্থা করা হোক। আমরা সরকার বিরোধী নই। আমরা চাইনা আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোন বিরোধী রাজনৈতিক দল রাজনীতি করুক। আড়াই হাজার অসহায় বুভুক্ষু শিক্ষকের বেতনের দাবিতে গত 5 ই আগস্ট গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল কিন্তু প্রশাসনিক পারমিশন সংক্রান্ত জটিলতায় ও অপর একটি সংগঠনের ঘৃণ্য চক্রান্তে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হই। কারণ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটি নামে একটি সংগঠন 4 তারিখের আন্দোলনের জন্য অনুমতির আবেদন করেন। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা দেখা যায়। আসলে ওই সংগঠন কোনদিনই অসহায় নিরীহ শিক্ষকদের বেতন, জীবন ও জীবিকা এবং নিদারুণ দুঃখ কষ্টের কথা উপলব্ধি করেনি। দীর্ঘ 6 বছর ওই সংগঠন শিক্ষক শিক্ষিকা ও মাদরাসার স্বার্থে তেমন কোনো ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেনি। বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে প্রমাণিত হয় যে ওই সংগঠন সরকার বিরোধী সংগঠন। শিক্ষকদের নানাভাবে না না ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করেছে তাই সকল শিক্ষক পৃথক সংগঠন গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হয়। বর্তমানে ওয়েস্টবেঙ্গল রিকগনাইজড আন এডেড মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি। এই অবস্থায় ওই পৃথক সংগঠনটি নিজেদের অস্তিত্ব টেকানোর জন্য দাবি করছে যে তারা সরকারবিরোধী নয়। কিন্তু মাদ্রাসার জন্ম কাল থেকে গত 16 ই জুলাই কালীঘাট অভিযান পর্যন্ত তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যে অতীতে তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মদতে সরকারবিরোধী আন্দোলন করেছে কিন্তু সেটা শিক্ষকদের স্বার্থে নয় কেবলমাত্র কয়েকজন শিক্ষক নেতার ব্যক্তিগত স্বার্থে। এমনকি রাজ্য বিজেপি নেতাদের সুপারিশে দিল্লির মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওই সংগঠনের প্রতিনিধিরা অথচ শিক্ষকদের মিথ্যাচার করে দাবি করছে যে তারা সরকার বিরোধী নয়। তারা কখনোই শিক্ষকদের দুঃখ দুর্দশা র কথা ভাবেনি, কখনোই ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যার কথা ভাবেনি। কিন্তু নবগঠিত সংগঠন ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ।তারই ফলস্বরূপ গত ২রা আগস্ট রাজ্য সরকার মাদরাসার পরিকাঠামোর জন্য আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন। আমরা এই জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মহাশয় কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কিন্তু এই নির্দেশ যাতে নিয়মিতভাবে বলবৎ থাকে, নিয়মিতভাবে আর্থিক বরাদ্দ পায় এর জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। আগামী 15 ই আগস্ট এর পর আমরা সরকারি আধিকারিক ও মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় সহ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপ আলোচনার জন্য সচেষ্ট হয়েছি এবং উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের দুঃখ কষ্টের কথা, ন্যূনতম হবে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা যদি আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কে জানাতে পারি নিশ্চয়ই উনি মানবিকভাবে বেতন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করবেন এই আশা আমাদের সর্বদা বিরাজমান। এইভাবে একদিকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। এর পাশাপাশি বেতনের দাবিতে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ও চলতে থাকবে। অসহায় দরিদ্র সহায় সম্বলহীন শিক্ষকরা আর কত দিন অনাহারে থেকে অর্ধাহারে থেকে শিক্ষকতা করবে এটা ভেবে শিক্ষকেরা হতাশায় ভুগছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। তাই অতি শীঘ্রই শিক্ষকদের বেতনের জন্য ও ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক স্বার্থে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও প্রকৃতপক্ষে কোন সংগঠন রাজনীতির উদ্দেশ্যে সরকার বিরোধিতা করেছে তার উপযুক্ত তথ্য প্রমান সহ আলোচনা করা হবে সরকারি নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে। তবে শিক্ষকদের বেতন না হওয়া পর্যন্ত সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি চলতে থাকবে।
আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটির নেতৃবৃন্দ ঘৃণ্য চক্রান্ত করে নবগঠিত সংগঠন কে নবগঠিত সংগঠন কে সরকারবিরোধী তকমা লাগানোর অপচেষ্টা করছেন।অর্থাভাবে 2500 শিক্ষকের পরিবারে হাহাকার দেখা দিয়েছে। চারিদিকে যন্ত্রণার ছবি। কিন্ত উনি সে সব বিষয়ে আমল দিচ্ছেন না, বরঞ্চ আমরা গনতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করতে গেলে, উনি চক্রান্ত করে আন্দোলন তুলতে বাধ্য করালেন।ওর আন্দোলন গুলি ছিলো রাজ্য সরকার বিরোধী । অনশন মঞ্চ কে গড়ে তুলেছিলেন বিরোধী দলের রাজনৈতিক মঞ্চ । যার কারণে রাজ্য সরকারের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন। অথচ তিনি কোন বুদ্ধিজীবি শিক্ষিত মহলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন নি। উনার কি কারণে আন্দোলন ? আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি ? উনি রাজ্য সরকারকে বোঝাতেই পারেন নি। M.A – B.A পাশ শিক্ষিত বেকারের বেকারত্বকে নিয়ে তামাশা করা ছাড়া আর কিছুই করেন নি। যতই অপ চেষ্টা করুক না কেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন এর জন্য ও মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক স্বার্থে আমাদের নতুন সংগঠন সঠিক পথেই চলবে।