নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- একটা আস্ত দ্বীপ কিনতে চাইছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেনমার্কের কাছ থেকে পুরো দ্বীপটাই কিনে নিতে আগ্রহী ধনকুবের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ ৮ লক্ষ ১১ হাজার বর্গকিলোমিটারের গ্রিনল্যান্ড কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে প্রকাশ। এর প্রতিবেদন অনুসারে, দ্বীপটি কেনা সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে আলাপ করেছেন ট্রাম্প।এর আগে গত কয়েক মাসে ট্রাম্প বিভিন্ন অতিথি ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনায় তুষারাবৃত প্রায় সাড়ে আট লাখ বর্গমাইলের দ্বীপটি কেনা সম্ভব কি না, তা নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। কেউ কেউ প্রায় জনশূন্য, কিন্তু বিভিন্ন খনিজ পদার্থে অত্যন্ত সমৃদ্ধ দ্বীপটি কেনার ব্যাপারে তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। বিষয়টি তলিয়ে দেখতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য ট্রাম্প প্রথম নয় এর আগে ১৯৪৬ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানও গ্রিনল্যান্ড কিনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন৷ উল্লেখ্য ১৯১৭ সালে ডেনমার্কে ভার্জিন আইল্যান্ড আমেরিকার অধীনে ছিল৷
এদিকে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে ট্রাম্পকে নিয়ে হাসিঠাট্টার রোল পড়েছে। এমনকী নেট দুনিয়ায় এই নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়ে গিয়েছে৷ নেটিনটেজিনরা এই নিয়ে ট্রাম্পকে খিল্লি করছেন৷ এমএসএনবিসির জনপ্রিয় উপস্থাপক রেইচেল ম্যাডো টিপ্পনি কেটে বলেছেন, ট্রাম্প নির্ঘাত দ্বীপটিতে একটি গলফ কোর্স বানানোর পরিকল্পনা করছেন। নিউইয়র্ক পত্রিকা ট্রাম্পের এই অভিলাষকে শিশুসুলভ অভিহিত করে লিখেছে, ট্রাম্প হয়তো জানেন না, দ্বীপটি ডেনমার্ক নামক একটি দেশের অন্তর্গত। তারা গ্রিনল্যান্ড বিক্রিতে আগ্রহী, সে কথাও শোনা যায়নি। স্বশাসিত রাষ্ট্রকে কি সত্যি এই ভাবে কেনা যায় বা কেনার কথা বলা যায়? এই নিয়ে নেটিজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন৷। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল অনুসারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য স্বশাসিত পরিষদ অর্থের অভাবে গ্রিনল্যান্ড চালাতে পারছেনা৷ তাই তিনি এই দ্বীপটি কিনতে চান৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তিনি আমেরিকার অন্যতম শিল্পপতি ছিলেন? তাঁর নামে ট্রাম্প টাওয়ার বিশ্বজুড়ে আবাসন শিল্পের এক পরিচিত নাম৷ কোলকাতাতে ইতিমধ্যে ট্রাম্প টাওয়ার আবাসন গড়ছে৷ আগস্টের শেষ দিকে সরকারি সফরে ট্রাম্পের ডেনমার্কে যাওয়ার কথা রয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত গ্রিনল্যান্ড দ্বীপটি উত্তর আটলান্টিক ও উত্তর মহাসাগরের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে। বড় আকারের এই দ্বীপের বেশির ভাগই বরফে আচ্ছাদিত। ছোট্ট জনসংখ্যার দ্বীপটির বেশির ভাগ থাকে দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায়। গ্রিনল্যান্ডে ইতিমধ্যেই মার্কিন সেনা ঘাঁটি আছে৷ সেখানে ৬০০ জন সেনা থাকে৷ আমেরিকায় থাকা ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি৷
সৌজন্য:- মহানগর