অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- যাবজ্জীবন আসামী ছত্র মাহাতোর সাজা কমে গেল। মুক্তি পেতে চলেছেন জঙ্গলমহলের পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণ কমিটির মুখপাত্র ছত্রধর মাহাত৷ তার সাজা কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হওয়ার মুখে৷ তাই এবার জঙ্গলমহলে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি হবে কি না তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও সাজা কমলেও খুশি নয় ছত্রধরের পরিবার৷ উচ্চ আদালতে আর্জি জানিয়েছে পরিবার।
তথাকথিত জঙ্গলমহলের জননেতা এক সময় যার দাপটে বাঘে গোরুতে এক ঘাটে জল খেত, সেই জঙ্গলমহলের পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণ কমিটির মুখপাত্র ছত্রধর মাহাতর উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাজা কমল। ২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণ কমিটির এই তাবড় নেতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল তৎকালীন বাম জামানার পুলিশ। কার্যত ফাঁদ পেতে ছাত্রধর মাহাতকে গ্রেফতার করেছিল বাম জামানার পুলিশ। তারপর থেকেই জেল বন্দি ছিলেন ছত্রধর মাহাত। তবে আদালতের নির্দিশে সাজা কমলেও খুশি নয় জঙ্গলমহলের তৎকালিন পুলিশ সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তন মুখপাত্র ছত্রধর মাহাতোর পরিবার।
পরিবারের পক্ষ থেকে পরিস্কার জানানো হয়েছে এই নির্দেশ তারা আদৌ খুশি নয়। তাদের দাবি ছত্রধর মাহাতকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। তাই তারা আশা করেছিলেন তিনি বেকসুর খালাস পাবেন। ছত্রধর মাহাতোর ছেলে সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন, তারা সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। এদিন ছত্রধর মাহাতো সহ জঙ্গলমহলের সুখশান্তী বাস্কে, সগুন মূর্মু এবং শম্ভু সোরেন যাবজ্জীবনের সাজা কমে দশ বছর হয়েছে বলে খবর পৌছায়। লালগড় থানার আমলিয়া গ্রামে বাড়ি ছত্রধর মাহাতর। তার সঙ্গে সাজা কমছে তৎকালিন জনসধারণ কমিটির সদস্য কাটাপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সুখশান্তী বাস্কে, আমলিয়া গ্রামের সগুন মুর্মু এবং শম্ভু সোরেনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তৎকালিন জনসাধারণর কমিটির মুখপাত্র ছত্রধর মাহাতো গ্রেফতার হয়েছিলেন ২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টম্বর।
লালগড় থনার বীরকাড় গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এদিন আদালতের নির্দেশ জানতে পেরে ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তী মাহাতো ফোনে জানান “আমরা এই নির্দেশ আদৌ খুশি নই। আমারা স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। প্রায় দশ বছর জেলে রেয়েছে। আমারা আশা করেছিলাম ওকে বেকসুর খালাস দেওয়া হবে। “ ছত্রধর মাহাতোর ছেলে ধৃতিপ্রসাদ মাহাতো বলেন “ আমার পরিবার, লালগড়বাসী চাইছে বাবা ফিরে আসুক। কিন্তু বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল। এত দিন বাবা জেলে রয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম বাবাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হবে। কিন্তু তা হল না। মন ভেঙে গিয়েছে। আমরা সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হব।“