ফের বৃহত্তর আন্দোলনের পথে “ওয়েস্ট বেঙ্গল রিকগনাইজ্ড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অসোসিয়েশন”
নিজস্ব সংবাদদাতা,অয়ন বাংলা:- 2011 সালে পশ্চিম বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘুদের বুনিয়াদী শিক্ষায় অগ্রগতির জন্য 10,000 মাদ্রাসা অনুমোদনের কথা ঘোষণা করেছিলেন । কিন্তু শেষ পর্যন্ত 235 টি মাদ্রাসার অনুমোদন হলেও বিগত 6 বৎসর ধরে বঞ্চিত রয়েছেন কর্মরত প্রায় 2,500 শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দ । তারা এখনো পর্যন্ত এক পয়সা মাসিক ভাতা, সাম্মানিক বা বেতন কিছুই পান না। অর্ধহারে- অনাহারে কঠোর পরিশ্রম করে বাঁচিয়ে রেখেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি।
প্রসঙ্গত – কেন্দীয় প্রকল্প SPQEM থেকে 2013-14 সালে 235 টি সরকার স্বীকৃত আন-এডেড মাদ্রাসার মধ্যে 221 টি মাদ্রাসার 663 জন শিক্ষকদের 12 মাসের ভাতা বাবদ 12,000 ও 6000 করে টাকা দেওয়া হলেও 5 বৎসর থেকে সেই টাকাও বন্ধ । এই অবস্থায় মাদ্রাসা গুলি বন্ধ হওয়ার উপক্রম । এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে একে বারেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান-সন্ত্রতী পড়াশোনা করে । তাদের মাথার উপর বর্তমানে খোলা আকাশ ছাড়া কিছুই নেই । রাজ্য সরকার পাঠ্য পুস্তক ও খাতা ছাড়া কিছুই দিচ্ছে না। শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে সংখ্যালঘু পরিবারের মুখে হতাশার ছাপ অব্যহত। তাদের সন্তানদের কি হবে ? তাদের সন্তানরা উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে না পারলে, সেই সমস্ত ছাত্র – ছাত্রীদের আগামী ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে। অন্যদিকে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে । তারা ক্রমাগত আর্থিক ভাবে পঙ্গু হচ্ছেন । তাদের অবস্থা সংকট জনক। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় ! দরিদ্র পরিবারের ছেলে – মেয়েরা বাড়ীতেও পেটপুরে খেতে পাচ্ছে না, আর অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসেও মিড-ডে-মিল পাচ্ছে না। বাচ্চাদের শারীরিক অবস্থা সংকট জনক। তাদের পোষাক দেওয়া হচ্ছে না, এমন কি উপযুক্ত পরিকাঠামোর দিকেও সরকারের অনীহা দেখা যাচ্ছে ।
উভয় সংকটের মধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিকগনাইজ্ড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যতোক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্য সরকার তাদের দাবী মানবে, ততক্ষণ তারা গনতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি আলতাফ হোসেন বলেন- আমারা আগামী – ইং 03/09/2019 তারিখ মঙ্গলবার সকাল 10 টা থেকে কোলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে আমরণ অনশনে বসছি। আমরা আমাদের অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত অনশন প্রত্যাহার করছি না।