নৃত্যানুষ্ঠানে ব্যাঘাত হবে তাই মসজিদে আযান বন্ধ করে দিলো পৌর মেয়র সুভাষ চন্দ্র শীল

Spread the love

অয়ন বাংলা ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- নব্বই শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে নাচের অনুষ্ঠানের কারণে আজান বন্ধ করা হয় । আর শোনা যায় ওখানে সংখ্যালঘুরা বিপদে আছে। বাংলাদেশে নৃত্যানুষ্ঠানের কারণে মসজিদের আযান বন্ধ করে দিলো স্থানীয় হিন্দু আওয়ামিলীগ নেতা পৌর মেয়র সুভাষ চন্দ্র শীল। গত ৩ মার্চ রবিবার বরিশালের বানারীপাড়ার মহিষাপোতা প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গত ৩ মার্চ রবিবার বরিশালের বানারীপাড়ার মহিষাপোতা প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন জামে মসজিদের পাশেই স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিলো, এশার নামাজের আজানের সময় হলে ইমাম সাহেব আযান দিতে গেলে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত আযান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, নৃত্যানুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় হিন্দু আওয়ামিলীগ নেতা পৌর মেয়র সুভাস চন্দ্র শীল! তার নির্দেশেই আযান বন্ধ করা হয়।

এ ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষের ভিতর ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, গান-নাচের অনুষ্ঠানের জন্য আযান বন্ধ করে দেওয়া এটা একটি মহা অন্যায়। এই অন্যায়ের সঠিক বিচার চাই।

এদিকে এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সাবেক একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওটি শেয়ার করে “নৃত্যানুষ্ঠানের কারণে মসজিদের আযান বন্ধ করা হলো” এই শিরোনাম দিয়ে লিখেছেন,

ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩রা মার্চ বরিশালের বানারীপাড়ার মহিষাপোতা প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন জামে মসজিদে! মসজিদের পাশেই স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিলো, এশার নামাজের আজানের সময় (৭:৩০) হলে ইমাম সাহেব আযান দিতে গেলে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত আযান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়!

পেশী শক্তির ভয়ে আযান বন্ধ রাখা হলেও এলাকার সাধারন মানুষের পাশাপাশি আওয়ামিলীগের একাংশের মধ্যেও চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে, এবং যেটার সম্পূর্ণ দায় গড়িয়েছে সরকারের উপর! কারন ঐ নৃত্যানুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা পৌর মেয়র সুভাস চন্দ্র শীল! তার নির্দেশেই আযান বন্ধ করা হয়! তবে, আমি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এর পুরো দোষ আওয়ামিলীগকে দিতে চাই না৷

৯০ ভাগ মানুষের ভোটের জন্যে হলেও আশা করি আপনি অতিসত্বর এ ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিবেন৷ ভিডিওটি আমাদের কাছে যিনি পাঠিয়েছেন তাদেরকে সুভাষ চন্দ্র বেশি বাড়াবাড়ি না করবার হুমকি দিয়েছেন৷ যে কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা দিতে সাহস পায়নি৷
সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় কতটা উদার হলে এটা সম্ভব ,এটাই আলোচ্য বিষয় হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.