আমি জ্যোতিষী, পূর্ব জন্মে আমি তোমার স্বামী ছিলাম।’ এই মন্ত্রে চলছিল দেদার সহবাস ,অবশেষে ধরা খেলেন জৌতিষী

Spread the love

অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক-এ যে ঢপের চপ, ‘আমি জ্যোতিষী, পূর্ব জন্মে আমি তোমার স্বামী ছিলাম।’ মহিলাদের একের পর এক এহেন ঢপ দিয়েই তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থেকে সহবাস সবই করেছিলেন তিনি। শুধু এখানেই শেষ নয়, এক মহিলাকে ঠকিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টানা ঋণও নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ভন্ড জ্যোতিষের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকমাস ধরেই রীতিমতো জমে উঠেছিল পসরা। নিজেকে পূর্বজন্মের স্বামী বলে ভালই চলছিল সম্ভোগ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মহিলাদের হাতে ধরা পড়েই গেল ভন্ড সেই জ্যোতিষী। আর ধরা পড়তেই চলল আড়ং ধোলাই।
সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুর এই ভুয়ো জ্যোতিষের নাম ভেঙ্কট কৃষ্ণাচার্য। এক স্ত্রী সহ সন্তানও রয়েছে তার। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর হনুমন্তনগরে মহিলাদের হাতে ধরা পড়েন ওই ব্যক্তি। আর ধরা পড়ার পরই গুণধর সেই জ্যোতিষের কীর্তির কথা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। একে একে অনেকেই মুখ খোলেন। জানা যায়, একই ভাবে প্রচুর মহিলাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক সে স্থাপন করেছে।

ধরা পড়তেই স্থানীয় মহিলারা রীতিমতো গণধোলাই দেওয়া শুরু করেন ভন্ড জ্যোতিষকে। মহিলাদের একটি সংগঠন তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্ণাটকের শ্রীনিবাসনগরের বাসিন্দা সে। শেষ পর্যন্ত এক মহিলাই পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে জ্যোতিষের নানা ছল-চাতুরি দিয়ে মহিলাদের মগজ ধোলাই করত। এভাবেই মগজ ধোলাই করে পূজা নামের এক মহিলা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নেয় সে। কিন্তু সময় মত টাকা ফেরত না দেওয়ায় টনক নড়ে ওই মহিলার। টাকা চাইলে উলটে খুনের হুমকি পেতে থাকেন। এরপরই ভন্ড জ্যোতিষীর পর্দাফাঁসের সিদ্ধান্ত নেন মহিলারা।

সৌজন্য:-মহানগর ওয়েব ডেস্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.