অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- কাশ্মীরের গ্রেফতার নিয়ে ক্রমশ সরব হচ্ছে গোটা বিশ্ব । কেন্দ্র কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকে রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা হয়েছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে তারা মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে আবেদন করেছে। পাকিস্তান বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীরে মানবাধিক লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগে করেছে। সেই সুরেই কি এবার সুর মেলাচ্ছে আমেরিকা? ভারত বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে, নিজেদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নয়াদিল্লি অন্য দেশের হস্তক্ষেপ পছন্দ করে না।
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এবার ট্রাম্প প্রশাসন এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারত বিভিন্ন রাজৈনতিক নেতাদের মুক্তি দিয়ে কর্মকাণ্ড শুরু করুক। কাশ্মীরে দ্রুত নির্বাচন করানো উচিত বলেও মনে করে ওয়াশিংটন। এরপর নয়াদিল্লি এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। ট্রাম্প প্রশাসনের মুখপাত্র মর্গান অর্টাগাস বলেন, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ীদের আটকের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। জনজীবন বিপন্ন। বেশ কিছু জায়গায় ফোন ও ইন্টারনেটের ওপর এখনও নিষেধাজ্ঞা আছে। আমরা চাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।
এদিকে ট্রাম্প আগেও কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এরপর সবার নজর ছিল ২৬ অগস্টের দিকে। সেদিন ফ্রান্সে G7 শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন। কাশ্মীর-সহ পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনও ইস্যুতে তৃতীয়পক্ষের কোনও হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না ভারত। বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী দেশের মর্জির সামনে মাথা নত না করে পালটা তাকে ভারতের অবস্থান মানতে রাজি করলেন তিনি। গত মাসে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন পাক প্রেসিডেন্ট ইমরান খান। তখনই কাশ্মীর ইস্যুতে প্রথমবার মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ভারত সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিতেই ট্রাম্প এক কদম এগিয়ে দুই কদম পিছিয়ে যান। সৌজন্য :- মহানগর